বিএনএ, চট্টগ্রাম : রাজধানী ঢাকাসহ মেট্রোপলিটন শহর গুলোর উন্নয়নের ধারায় রাউজান পৌরসভাসহ দেশের দুটি পৌরসভাকে ডেল্টা প্লানের আওতায় নতুন করে সাজানো হচ্ছে। অপর পৌরসভাটি হলো যশোরের কেশবপুর পৌরসভা। এ উন্নয়নে অর্থায়ন করছে নেদারল্যান্ড। ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান দুই দফা রাউজান পৌরসভা এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, নেদারল্যাণ্ডের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাউজান পৌরসভা অনেক মর্যাদা সম্পন্ন পৌরসভায় পরিণত হবে । রাউজান ও কেশবপুরবাসী পাবে ভিন্নমাত্রিক উন্নয়নের ছোঁয়া।
রাউজান পৌরসভায় ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পিংক সিটি, ট্রমা সেন্টার, বিসিক শিল্পাঞ্চল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুনেছা প্রবীণ নিবাস, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম কেন্দ্রসহ নানা প্রতিষ্ঠান।
নতুন কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে-চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি চার লেইন মহাসড়কের কিনারা ঘেঁষে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি রাউজান রাবার বাগান এলাকা। পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের শেষ সীমানায় বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষনী নানা স্থাপনা।
প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হবে ওপেন থিয়েটার সেন্টার, বাচ্চাদের খেলাধুলার বিশেষ অঞ্চল, বোটিং এর জন্য রাখা হবে চক্রাকারে লেক, সৌখিন মাছ শিকারীদের জন্য থাকবে বড় পুকুর, আধুনিক মানের রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টার, নির্মিত হবে বিল্ডিং কানেক্টিং কাঠের সেতু, বিনোদন স্পটের আসা লোকজনের আসনবিন্যাস এলাকা, বোর্ডিং ঘাট, গার্ড রুম, পার্কিং এলাকা, পাবলিক টয়লেটসহ নানা স্থাপনা।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেদারল্যান্ডের অর্থায়নকারী সংস্থার প্রতিনিধি এবং রাউজান পৌরসভার মেয়র এবং যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দাতা সংস্থার সাথে আবারো দুই পৌরসভার মেয়রের বৈঠক আছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে রাউজান পৌরসভাকে নতুন কর্মপরিকল্পনায় সাজানোর কাজ আগামী তিন চার মাসের মধ্যে শুরু হবে । দেশের অন্যান্য উপজেলা এবং পৌরসভা থেকে সৌন্দর্য এবং পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে রাউজান সবার এগিয়ে। এটা সম্ভব হয়েছে চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আধুনিক রাউজানের রূপকার এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
পৌরসভার প্রকৌশলী ওয়াসিম আকরাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই প্রকল্পের অর্থ যোগানদাতা দেশের প্রতিনিধিগণ একাধিবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হয়ে সাড়ে ছয় একর জায়গা নিয়ে প্রকল্পের নক্সা চুড়ান্ত করেছেন। তারা এটি পৌর কর্তৃপক্ষের হাতে উপস্থাপন করেছে। আগামী এপ্রিলের দিকে তারা কাজে হাত দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে কেশবপুর পৌরসভা বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার অন্তর্গত ‘ক’ শ্রেণির একটি পৌরসভা। এর মোট আয়তন ১১.৮৭ বর্গ কি.মি। মোট জনসংখ্যা ৪৬,১৬৯ জন। ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে এ পৌরসভা গঠিত।
বিএনএনিউজ২৪ডটকম