বিএনএ ডেস্ক : শীতে হঠাৎ করে ঠান্ডা শুরু হওয়াতে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা-জ্বর থেকে সুরক্ষায় কিছু হারবাল উপাদান সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এসব খেলে ঠান্ডা-জ্বর ভালো হয়ে যায়।
ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা-জ্বরে খেতে পারেন কালোজিরা। কালোজিরা ঠান্ডা সারাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এছাড়া চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হƒদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদও বিগলিত হয়।
মসলা হিসেবে কালোজিরার চাহিদা অনেক। কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে আছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক কেরটিন, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক।
জ্বর ও খুসখুসে কাশি, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালোজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগজীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।
কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগজীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফেঁাড়া, সংক্রামক রোগ (ছেঁায়াচে রোগ) হয় না। কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাসের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ এর স্বাভাবিক মাত্রা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
কালোজিরা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিক আয়ত্তে রাখতে সহায়তা করে। কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুলপড়া বন্ধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কালোজিরা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দঁাতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হঁাপানি নিরাময়ে কালোজিরা সহায়তা করে। ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।