বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উ ইন মিন্টকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
দেশটির সরকারি দলের মুখপাত্র ড. মিও নিয়্যুন্ট গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই দুজন ছাড়া আরও আটক করা হয়েছে সরকারি দলের বেশ কয়েকজন সেন্ট্রাল এক্সিকিউটিভ মেম্বার এবং আইনপ্রণেতাকে। এই ঘটনা এমন সময় ঘটছে, যখন মিয়ানমারে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে তাদেরকে আটকের পর প্রশাসনিক রাজধানী নাইপিদোতে মোবাইল ফোন ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টে মিয়ানমার রেডিও এবং টেলিভিশন জানিয়েছে, ‘চলমান যান্ত্রিক ত্রুটির আমরা জানাতে চাই, এমআরটিভি এবং মিয়ানমার রেডিওর সম্প্রচার সম্ভব হচ্ছে না।’
এর আগে, গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেসি লিগ (এনএলডি) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিল এনএলডি।
এ বিষয়ে সরকারি দলের মুখপাত্র মিয়ো নিয়ুন্ট গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা। কিন্তু তারা (সেনাবাহিনী) চাইলে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রেসিডেন্টকে জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা সভা ডাকতে বাধ্য করে এটিকে অস্বীকার করতে পারে।’
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কেবলমাত্র প্রেসিডেন্টই জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সেনাবাহিনী পরিচালিত মায়াবতি চ্যানেলের সম্প্রচার চালু আছে। আর নির্দিষ্ট এলাকা বাদে বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোন পরিষেবাও।
বিএনএ/এমএইচ