37 C
আবহাওয়া
৫:০৫ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মা-ছেলে অপহরণ মামলা, ৩ পুলিশের জামিন নামঞ্জুর

মা-ছেলে অপহরণ মামলা, ৩ পুলিশের জামিন নামঞ্জুর

মা-ছেলে অপহরণ মামলা, তিন পুলিমের জামিন নামঞ্জুর

বিএনএ দিনাজপুর: দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার(৩১ আগস্ট) দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই তিন জনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। সে সময় জামিনের বিরোধিতা করেন দিনাজপুর আদালত পুলিশের এসআই সবুজ আলী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক শিশির কুমার বসু ।
দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার আদালত শুরুর সময় ঐ ৩ জনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিন্টু পাল জানিয়েছেন, সিআইডির এএসপি, এএসআই ও কনস্টেবলের জামিনের আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনে বিভিন্ন যুক্তি দেখানো হয়। কিন্তু  তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক।

চলতি মাসে পলাশ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট রাত ৯টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই সালেমান শাহ পাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের বাড়িতে ৬ থেকে ৭ জন ব্যক্তি প্রবেশ করে। সে সময় তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ির আলমারি, সোকেস, ড্রয়ার তছনছ করে। পরে তারা লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে তুলে নিয়ে যায়। রাতে অপহরণকারীরা স্বজনদের কাছে ফোন করে মা-ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়।   চিরিরবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পরিবারের সদস্যরা অপহরণকারীদের ১৫ লাখ টাকা দিতে চায়। সেই অনুযায়ী অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে বাশেরহাট এলাকায় আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওৎ পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।

এই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন অপহৃত জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া, শহরের নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিউল আলম পলাশকে গ্রেফতার দেখানোর পর আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অপর ৫ আসামি হলেন- চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের মৃত এন্তাজুল হকের ছেলে আরেফিন শাহ, শহরের ৬ নম্বর উপশহর খেরপট্টি এলাকার সোহেল, সুইহারী চৌরঙ্গী বাজারের রিয়াদ, ২ নম্বর উপশহর এলাকার সুমন এবং ৩ নং উপশহর এলাকার জাহিদ। এ ঘটনার পর পুলিশের এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক বরখাস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিএনএনিউজ/এস এ শাহী,আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ