বিএনএ, ঢাকা : করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান ।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার(৩১ মে) তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী’র সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র ৭৪ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে । স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক এসময় কাজ করেছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে হাইকমিশনার প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমানকে আশ্বস্ত করেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান এবং যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দু’দেশ একযোগে কাজ করবে বলে হাইকমিশনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
Total Viewed and Shared : 16