32 C
আবহাওয়া
২:৪৩ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আজ শুরু হচ্ছে ’এশিয়ার বিশ্বকাপ’

আজ শুরু হচ্ছে ’এশিয়ার বিশ্বকাপ’

এশিয়া কাপ

বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান-নেপালের ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। প্রথমবারের মতো ‘হাইব্রিড’ মডেলে আয়োজিত হচ্ছে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে মোট ৬ দল- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং নেপাল। চলুন দেখে নেয়া যাক, চলতি আসরে অংশ নেয়া দলগুলোর এশিয়া কাপ রেকর্ড।

বাংলাদেশ

১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপের প্রথম আসরে কোয়ালিফাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ১৪টি আসরের সবকটি খেলেছে টাইগাররা। ১৯৮৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আয়োজিত ৬ আসরে প্রথম রাউন্ডেই থামে বাংলাদেশ। ২০০৪ আসরে প্রথমবারের মতো সুপার ফোরে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজরা। ২০০৮ সালেও সুপার ফোর নিশ্চিত করে টাইগাররা। ২০১০ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০১২ আসরে রানার্সআপ হয় টাইগাররা।

২০১৪ এশিয়া কাপে প্রথম রাউন্ডে বাদ না পড়লে টানা তিন ফাইনাল খেলার কীর্তি গড়তো বাংলাদেশ। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালেও রানার্সআপ হয় টাইগাররা। সবশেষ ২০২২ আসরে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ১৪ আসরে ৪৬ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় ১০টি। হার ৩৬টি।

ভারত

এশিয়া কাপের সফলতম দল ভারত। টুর্নামেন্টটিতে সর্বোচ্চ ৭ বার শিরোপা জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ১৯৮৪ সালে উদ্বোধনী আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ১৯৮৬ এশিয়া কাপে অংশ নেয়নি দলটি। আয়োজক দেশের ক্রিকেট বোর্ড শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে টুর্নামেন্ট বর্জন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টানা তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ১৯৯৭ সালেও ফাইনালিস্ট দল তারা। সেবার শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতীয়দের।

২০০০ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে আগের চার আসরের ফাইনাল খেলা ভারত। এরপর ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে রানার্সআপ হয় তারা। ২০১০ সালে এশিয়া কাপের ১০ম আসরে পঞ্চম শিরোপা জেতে ভারত। ২০১২ এবং ২০১৪- টানা দুই আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় তারা। এরপর ২০১৬ এবং ২০১৮ এশিয়া কাপে ষষ্ঠ ও সপ্তম কাপ জেতা ভারত সবশেষ ২০২২ আসরে বাদ পড়ে সুপার ফোরে। এশিয়া কাপের ১৪ আসরে ৫৯ ম্যাচে ৩৯ জয় এবং ১৮ হার ভারতের।

শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা। প্রতিযোগিতাটির ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানরা। চলতি আসরে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের সবকটি আসর খেলেছে। ১৯৮৪ সালে প্রথম আসরে রানার্সআপ হয় তারা। ১৯৮৬ সালে ঘরের মাঠে প্রথম শিরোপা জয় করে শ্রীলঙ্কা। এরপর ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১ এবং ১৯৯৫ সাল- টানা তিন আসরে রানার্সআপ হয় লঙ্কানরা। ১৯৯৭ সালে নিজেদের আঙিনায় দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জেতে শ্রীলঙ্কা। ২০০০ সালে রানার্সআপ হওয়ার পর ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে টানা দুবার শিরোপা জেতে লঙ্কানরা। ২০১০ সালে ষষ্ঠবারের মতো রানার্সআপ হয় দলটি। অর্থাৎ, ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এশিয়া কাপের দশটি আসরের সবকটি ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের ফাইনালিস্ট হওয়ার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ২০১২ সালে। এশিয়া কাপের ১১তম আসরে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে লঙ্কানরা। যদিও ২০১৪ সালে পরের আসরে ফের চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। তবে ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে আবারো প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ২০২২ আসরে ষষ্ঠ এশিয়া কাপ জেতে দলটি। ১৫ এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে ৬০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ৪৪টি। হার ২২ ম্যাচে।

পাকিস্তান

এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের তালিকায় তৃতীয় পাকিস্তান। টুর্নামেন্টটিতে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গ্রিন ক্যাপরা। ১৪টি এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে মোট পাঁচবার ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। ১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপের প্রথম আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় দলটি। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় আসরে রানার্সআপ হয় তারা। ১৯৮৮ আসরে সুপার ফোরে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। ১৯৯০-৯১ এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ভারতে গিয়ে সেই আসরে অংশ নেয়নি পাকিস্তান। ১৯৯৫ এবং ১৯৯৭ সালে টানা দুই আসরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে ‘ম্যান ইন গ্রিন’রা। ২০০০ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ৭ম আসরে প্রথম শিরোপা জেতে পাকিস্তান। ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে সুপার ফোরে থামে তাদের এশিয়া কাপ যাত্রা। ২০১০ সালে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। ২০১২ আসরে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জেতে তারা। পাকিস্তান দু’টি শিরোপাই বাংলাদেশে জিতেছে। ২০১৪ সালে রানার্সআপ হয় দলটি। ২০১৬ আসরে গ্রুপপর্বের বাধা টপকাতে না পারা পাকিস্তান ২০১৮তে থামে সুপার ফোরে। সবশেষ ২০২২ সালে রানার্সআপ হয় গ্রিন ক্যাপরা। ১৪টি এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে ৫৫ ম্যাচে পাকিস্তানের ৩১ জয় এবং ২৩ হার।

আফগানিস্তান

আইসিসির সদস্য না হওয়ায় ২০০০ সাল পর্যন্ত এশিয়া কাপের সাতটি আসরে অংশ নিতে পারেনি আফগানিস্তান। আইসিসির সদস্য হওয়ার পর ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত চার আসরে বাছাইপর্বেই থামে আফগানদের এশিয়া কাপ যাত্রা। ২০১৪ আসরে অভিষেক হয় তাদের। সেবার গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় দলটি। ২০১৬ সালে ফের বাছাইয়ে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ দুই আসর- ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে সুপার ফোর খেলেছে আফগানিস্তান। এশিয়া কাপের তিন আসরে অংশ নিয়ে ১৪ ম্যাচে আফগানদের জয় ৫টিতে। বাকি ৮ ম্যাচে হার।

নেপাল

আইসিসির সদস্য না হওয়ায় ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এশিয়া কাপ বাছাই খেলার যোগ্যতা ছিল না নেপালের। ১৯৯৭ আসর থেকে সেই জটিলতা কেটে গেলেও টানা দশ আসরের কয়েকটিতে অংশ নেয়নি নেপাল, আর কয়েকটিতে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। অর্থাৎ, ২০২৩ এশিয়া কাপ দিয়ে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটিতে যাত্রা শুরু হলো রাইনোসদের।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ