বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে ভোজ্যতেল ঘোষণা দিয়ে তরল কোকেন আনার ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেলের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে কোকেন মামলায় গোলাম মোস্তফা সোহেল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিল।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পেশকার মো.ওমর ফুয়াদ।
তিনি বলেন, কোকেন মামলায় গোলাম মোস্তফা সোহেলের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এর আগে তাদের আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেয়া হয়। পরে একই বছরের ১৯-২৩ মে পর্যন্ত প্রথম দফায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। চলতি বছরেও একাধিকজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক একেএম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।
২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম নগর ডিবি পুলিশের তৎকালীন এডিসি এসএম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
এরপর ২৭ জুন চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।
বিএনএনিউজ/মনির
