37 C
আবহাওয়া
৬:০৬ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সংঘবদ্ধ ধর্ষণের চার দিন পর তরুণীকে উদ্ধার

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের চার দিন পর তরুণীকে উদ্ধার


বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের নান্দাইলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের চার দিন পর তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুমনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া ওরফে বেকার সুমন উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কোনাবাঘারি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভিক্টিম তরুণীকে জেলার ভালুকা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। তরুণীকে উদ্ধারের পর ওই দিন সন্ধ্যায় জেলার ফুলপুর উপজেলা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে সুমন মিয়া ওরফে বেকার সুমন ও একই গ্রামের মো. খোরশেদ উদ্দিনের ছেলে আমানুল্লাহকে (৩০) আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ভিক্টিম তরুণীর ভাষ্য, গত শুক্রবার তিনি আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য গফরগাঁও রেলস্টেশনে যান। সেখানে সুমন মিয়া তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে নান্দাইলের কোনাবাঘাড়ি গ্রামের এক জঙ্গলে নিয়ে দুজন মিলে  ধর্ষণ করে। পরে তাকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে অবস্থিত একটি মন্দিরের কাছে ফেলে রেখে যায়। পরে ঘটনাটি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত মিন্টুকে জানান তিনি। কিন্তু চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার লোকজন তাকে ভয় দেখিয়ে নান্দাইল থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই সময় তার হাতে ৫ হাজার টাকাও ধরিয়ে দেন চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসনাত মিন্টু বলেন, আমি ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকা দেইনি। ওই তরুণী শুক্রবার রাতে আমার কাছে এসে বলে আমাকে টাকা দেন; আমি বাড়িতে যাব। পরে আমি তাকে ১০০ টাকা দিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলি। তাছাড়া, ওই তরুণী তখন ধর্ষণের কোন অভিযোগ আমার কাছে করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ওই তরুণীকে খোঁজে না পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তরুণীকে উদ্ধার করার পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় অপর আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসনাত মিন্টু’র বিষয়টি আমার জানা নেই বলেও জানান তিনি।

বিএনএ/ হামিমুর রহমান, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ