28 C
আবহাওয়া
৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাবির আবাসিক হলে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

রাবির আবাসিক হলে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের একজন আবাসিক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সুমাইয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে সুমাইয়াকে ৭দিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একই হলের দোলন নামের আরেকজন আবাসিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। নির্যাতন সহ্য না পেরে এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতির ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে সুমাইয়ার সাথে অভিযুক্ত দোলনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোলন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে অভিযুক্ত দোলন ওইদিন রাতেই হলের দায়িত্বরত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবার সামনে ক্ষমা চাইলেও ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেত্রীরা তাকে বিভিন্নভাবে শাসান। এরপর দোলন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়ের সহায়তায় প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত দোলনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হলের প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তাঁর কক্ষে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অভিযুক্ত দোলন। আলোচনা চলাকালীন এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে রামেকের ১৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকেই আমার দপ্তরে ডেকেছি। নির্যাতনের বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবোর্চ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোলনসহ অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিএনএ/সাকিব, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ