বিএনএ, ঢাকা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি অত্যন্ত আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ একজন ব্যক্তি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একটি সুন্দর ও স্বার্থক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে।
রোববার(২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, যৌতুক ও বাল্যবিবাহসহ সামাজিক সমস্যা নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত ঈমানদার সেই ব্যক্তি যে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। তাই বঙ্গবন্ধুর সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতে হলে সবাইকে নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে, তাহলেই সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠন করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নবনিযুক্ত বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর এ.এফ.এম ইয়াহিয়া চৌধুরী,(অব: অতি: সচিব), মো: শাহজাহান সিদ্দিকি বীর বীক্রম(অব: সচিব), মাওলানা কাফিলুদ্দীন সরকার, মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন । ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহম্মেদসহ বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম। কর্মচারিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক সেলিম সরকার ।
বিএনএ/এসকে,ওজি