বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অব্যাহত বন্যহাতি হত্যা বন্ধ এবং হাতি হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রাণি সংরক্ষণকর্মী, গবেষক, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা মানুষ।শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে “প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় সম্মিলিত আন্দোলন” নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় “বিপন্ন এশিয়ান হাতি রক্ষায় মানববন্ধন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি”।
মানববন্ধন ও গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বন্যহাতির প্রাকৃতিক চলাচলের পথ, খাবার ও পানির উৎস রক্ষায় গহীন বনের প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ, হাতির নিরাপত্তা, অভয়ারণ্যসহ বনে পর্যাপ্ত খাদ্য শৃঙ্খল গড়ে তোলার দাবি জানান। মানববন্ধনে জানানো হয়, গেল এক বছরে দেশে প্রায় ২২টি বন্যহাতি মারা গেছে। এরমধ্যে চলতি মাসে মারা গেছে চারটি হাতি। মারা যাওয়া হাতিগুলোর বেশিরভাগই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৃত হাতিগুলোকে গুলি করে, বিষ প্রয়োগ এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে বাংলাদেশে হাতি হত্যা ও মারা যেতে থাকলে শিগগিরই এ দেশ থেকে প্রাণীটি বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই হাতি সংরক্ষণকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হাতি সংরক্ষণের উদ্যোগগুলো কার্যকারিতা নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা পূর্বক প্রয়োজনে সংরক্ষণ কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে, তাহলেই ভবিষ্যতে হাতি সংরক্ষণ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ বনবিভাগ ও প্রকৃতি-প্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইইউসিএনের সবশেষ (২০১৬ সাল) হাতি জরিপের তথ্যমতে, দেশে এশিয়ান বন্যহাতি রয়েছে ২৬৮টি। দেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি বনাঞ্চলে ৯৩ পরিযায়ী হাতি বিচরণ করে। এছাড়া সরকারি অনুমতিক্রমে দেশে পালিত হাতি রয়েছে ১০০টি।কিন্তু দিন দিন মারা যাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার এই সংখ্যা এখন কমছে। মানববন্ধন থেকে হাতি সংরক্ষণে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
বিএনএনিউজ/আমিন