28 C
আবহাওয়া
৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ - মে ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সৌরবিদ্যুত উৎপাদনের সুযোগ সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী,চকরিয়ার অনাবাদী এলাকায়

সৌরবিদ্যুত উৎপাদনের সুযোগ সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী,চকরিয়ার অনাবাদী এলাকায়

বিস্তীর্ণ অনাবাদী এলাকা সৌরবিদ্যুত উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত

জ্বালানী সংকট কেবল বাংলাদেশে নয়,গোটা বিশ্বে।তাই বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনে বিশ্বে বিপস্নব ঘটতে চলেছে। তীব্র জ্বালানি সংকটে বিদ্যুতের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুতের মূল্য আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়  আমাদেরও বসে থাকার সুযোগ নেই। দরকার এখনই প্রস্তুতি।

অবশ্য আমাদের দেশের অনেক শিল্পোদ্যোক্তা শিল্প কারখানাগুলোতে ব্যবহার হওয়া বিদ্যুতের একটি অংশ নিজস্ব উদ্যোগে উৎপাদন করা তথা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র  স্থাপনের জন্য খুব আগ্রহী। কেবল শিল্পোদ্যোক্তা বা ব্যবসায়িরা  নয়, ঘরে ঘরে, অফিসগুলোতে মানুষ মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত চান ,পাশাপাশি বিদ্যুত খরচ কমাতেও খুব তৎপর। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে অনেক আগ্রহী।

সূর্য আমাদের আলো ও উত্তাপ দেয়। সৌরশক্তি দিয়ে বিদু্যৎও উৎপাদন করা হয়। সোলার সেল সৌরশক্তি ধারণ করে। এরপর তা বিদু্যতে পরিণত করে।

প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে সোলার হোম সিস্টেম

স্থাপন করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া সোলার হোম সিস্টেম, সৌর বিদ্যুৎ এ সবের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন ধারণাও নেই।  সোলার বা সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যাপক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকা, সীমিত আমদানী কারক, দেশীয় উৎপাদক হওয়ায় বিকল্প বিদ্যুত হিসেবে হিসেবে এটি যে অনেক ঝামেলা বিহীন তা অনেকেই জানেন না।

হাতেগোনা প্রতিষ্ঠানগুলো সোলার বা সৌর বিদ্যুৎ এর পুরো মার্কেট টাকে জিন্মি করে রেখেছে বলা যায়। ওরা মনে করে যারা কেনার তারাতো কিনবেই, সস্তায় দিয়ে আমাদের লাভ কী?

চীন, তাইওয়ানে বাংলাদেশি  ৫০-৬০টাকায় যে সব সোলার প্যানেল কিনতে পাওয়া তা আমাদের দেশে  ৫০০-৬০০টাকায় বিক্রি হয়। কেউ কেউ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সোলার বিদ্যুত ব্যবহারের অন্যান্য সরঞ্জাম বাংলাদেশি ইলেকট্রিশিয়ানরা বানাচ্ছে। গ্যারন্টিও তারা দিতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ঘাটতি না হওয়া এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বার বার দেশের ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখতে নিষেধ করছেন। এ বিষয়টি কে সারাদেশের মানুষ, সমাজ, ইউনিয়ন,থানা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি নেতৃবৃন্দ যদি গুরুত্ব দেন প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশে খাদ্যশষ্য সস্তা হবে এবং সবার প্রয়োজন পূরণ হবে।যদি জিজ্ঞেস করার কোন বিভাগ থাকতো , আপনি কেন জমিটি অনাবাদী রাখলেন?অনাবাদী জমির ওপর খাজনা দ্বিগুন করা হলে , বার বার সরকারি নোটিশ দেয়া হলে মানুষ কোন জমি অনাবাদী ফেলে রাখতো না।

এ সব অনাবাদী জমিকে কেন্দ্র করে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নিতে পারে মানুষ। এ জন্য সরকারকে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল, ব্যাটারি ও কিটসমূহ খুব সহজে আমদানীর সুযোগ দিতে হবে। দেশে সৌর প্যানেল প্রাপ্তি সহজ করতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর ঘাটতিজনিত কারণে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী ব্যাহত হচ্ছে এবং উক্ত খাতসমূহে কাঙ্খিত নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না এবং জন জীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক ও সিইও আলমগীর মোরশেদ সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, দেশে রুফটপ সোলার প্ল্যান্টের মাধ্যমের ৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার, আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতে জ্বালানি সাশ্রয়, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানির অপচয় রোধকল্পে ২০১২ সালে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) গঠিত হয়।

বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইডকল কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রায় ১৩ মিলিয়ন সুবিধাভোগী সৌরবিদ্যুৎ পাচ্ছে। অন্যতম বৃহত্তম এবং দ্রুতবর্ধনশীল অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য কর্মসূচী হিসেবে এই কর্মসূচী বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। সৌরশক্তির ব্যবহার আরও কার্যকর করতে পারলে তা ফিলিপাইন,তাইওয়ান,চীনের মত বিদ্যুতের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।

solar panel in field
মানুষকে সোলার দ্বারা চালিত যন্ত্রপাতি,চুলা, বাতি,টিভি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী,চকরিয়ার বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকা,টিলা, অনাবাদী এলাকায় ব্যাপকভাবে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিপুল সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। তাছাড়া রয়েছে বিশাল সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা। যেখানে বায়ু হতে বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন,জেলাপ্রশাসন এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)ও ইডকল যৌথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করে বেসরকারি খাতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া যেতে পারে।

তাছাড়া সৌর বিদ্যুত উৎপাদন উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বাণিজ্যিক ও সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

সৌর বিদ্যুত উৎপাদন উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বাণিজ্যিক ও সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।
সৌর বিদ্যুত উৎপাদন উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বাণিজ্যিক ও সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

সরকারি অনাবাদী জমিতে সোলার পার্ক স্থাপন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর মিনি গ্রীড প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

বেসরকারি খাতে কোম্পানী গঠন করে চীন,ভারত, তাইওয়ানের সাথে যৌথভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেল ও কিট উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের বিশেষ ঘোষণা প্রয়োজন।সোলার খাতে সব ধরনের বিনিয়োগকে সরকার স্বাগত জানাবে।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের পর সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামে যথেষ্ট উন্নয়নের সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। সেখানে(সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী,চকরিয়া)ইপিজেড, সৌর বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করার সুযোগ লাগাতে হবে।

আরিয়ান চৌধুরী,চট্টগ্রাম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ