26 C
আবহাওয়া
৩:৪২ পূর্বাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » উচ্ছেদের বিরুদ্ধে অনড় লালদিয়ার চরের বাসিন্দারা

উচ্ছেদের বিরুদ্ধে অনড় লালদিয়ার চরের বাসিন্দারা


বিএনএ, চট্টগ্রাম : পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানে রয়েছে লালদিয়ার চরের বাসিন্দারা । শুক্রবার(২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা । পতেঙ্গার লালদিয়ার চর থেকে বেশ কয়েকটি বাসে করে হাজার খানেক নারী-পুরুষ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এসে জড়ো হন।

লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, এখানে ভাড়াটিয়ারা থাকে। যৌথ সার্ভে করলে সেটার উত্তর বের হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি এবং প্রয়োজনে আদালতের প্রতিনিধিসহ থেকে সার্ভে করা হোক।

উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন এই ১৪ হাজার মানুষ পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংহতি জানিয়ে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি বলেন, জাতির জনক একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিমান ঘাটি সম্প্রসারণের জন্য তিনি অত্র এলাকার বাসিন্দাদের লালদিয়ার চরে স্থানান্তর করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুল আলম বলেন, “রোহিঙাদের আশ্রয় দিয়েছেন আমাদের নেত্রী। তাহলে আমাদের কেন ঠাঁই হবে না? ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ-পানিহীন মানবেতর জীবনযাপন করছি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু বলেন, “১৯৭২ সালে সরকারের নির্দেশে মানুষগুলো এখানে আশ্রয় নিয়েছে। আজ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আদালতে বলা হয়েছে এখানে কোনো আদি বাসিন্দা নেই। প্রয়োজনে আদালত যেন সরেজমিন দেখে সিদ্ধান্ত নেন।

পতেঙ্গা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আলী বলেন, “নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন বন্দর দেশের লাইফ লাইন। এতে আমাদের অবদান আছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পোড়াপাড়ার বাসিন্দারা এখানে আসে। এমনিতে নয়। আমাদের অধিকার আছে।”

১৯৭২ সালে বিমান ঘাঁটি সম্প্রসারণের সময় স্থায়ী বন্দোবস্তি পাওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে নিজেদের ভিটামাটি ছেড়ে লালদিয়ার চরে বসতি শুরু করে স্থানীয় কয়েকশ পরিবার। এখন ওই এলাকায় ২৩০০ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষের বসবাস।ইতিমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ চরবাসীর পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সদস্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের বিরোধীতা করেছেন।

বিএনএ/ওজি

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ