24 C
আবহাওয়া
৭:০৯ অপরাহ্ণ - মে ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চসিক নির্বাচন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মোটরসাইকেল আটক

চসিক নির্বাচন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মোটরসাইকেল আটক

চসিক নির্বাচন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মোটরসাইকেল আটক

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন উপলক্ষে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু ইসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যায়। এজন্য রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে এসব মোটরসাইকেলসহ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা যানবাহন আটক শুরু করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি মোড়ে দেখা যায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় বেশকিছু মোটরসাইকেলকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য গাড়িতেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
গাড়িতেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি

এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশের কথা জানানো হয়। সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপসহ সড়কে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বলা হয়েছে। তবে ২৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম কর্মী, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহৃত যানবাহনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবারহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরুপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

এদিকে, সোমবার (২৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা ১ মিনিট (২৬ জানুয়ারি) থেকে আগামী বুধবার দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা ১ মিনিট (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১১টি পরিবহন চলাচলে নিষেজ্ঞা আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত পরিবহনসমূহ হল- বেবি টেক্সি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন যন্ত্রচালিত যানবাহন, পিক আপ, ট্যাক্সি ক্যাব, কার, ট্রাক, লরি, জিপ, টেম্পো এবং মোটরসাইকেল।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, গণপরিবহন অথবা বাস এই নিষেধাজ্ঞার আওতা মুক্ত থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি বা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি বা বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনে বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে নিয়োজিত (যেমন- এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি) কার্যক্রম ব্যবহারের উপর উল্লেখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের (চসিক) ভোটগ্রহণ। এবার চসিক নির্বাচনে সম্পূর্ণ ইভিএমে (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন ভোটার ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ভোট দেবেন। এর থেকে প্রায় ৩৮ হাজার ভোটার হস্তানান্তারিত ও মারা যাওয়ায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গেছেন। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে এবার সিটি ভোটে পুরুষ ভোটার থাকছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন। মেয়র পদে ভোট হবে দলীয় প্রতীকে, আর কাউন্সিলর পদে ভোট হবে নির্দলীয় প্রতীকে। হালনাগাদের আগের তালিকায় থাকা ভোটারদের মধ্যে বেশ বড় একটা অংশ (ভোটাররা) মাইগ্রেট হয়েছেন (হস্তান্তর)। এছাড়া অনেকে মারা গেছেন। মাইগ্রেট ও মৃতদের বাদ দিয়ে এবং হালনাগাদে নতুন ভোটার ৮৫ হাজার ৮৪ জন অন্তর্ভুক্ত করেই এই চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে।” এরমধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় (নির্বাচনী থানা) ১৭ হাজার ৭৫৪ জন, চান্দগাঁও থানায় ১১ হাজার ৪৭৬ জন, কোতোয়ালী থানায় ৯ হাজার ৯৬৭ জন, পাহাড়তলী থানায় ১১ হাজার ৯৫৩ জন, ডবলমুরিং থানায় ১৫ হাজার ৮৫৭ জন এবং বন্দর থানা এলাকায় ১৮ হাজার ৭৭ জন নতুন ভোটার হন।

নগরীর ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে এক লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ জন। আর সর্বনিম্ন ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ২৮৮ জন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সিটি এলাকার ভোটার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার এবং বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হয়। ইভিএমে ভোট হওয়ায় উপস্থিতি বাড়ানোর দিকেও নজর রয়েছে ইসির।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ