29 C
আবহাওয়া
৭:০৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » উপকূলীয় ৬ লাখ মানুষের নির্ঘুম রাত

উপকূলীয় ৬ লাখ মানুষের নির্ঘুম রাত

আশ্রয়

বিএনএ ডেস্ক: সারাদিন তাণ্ডব চালিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি উপকূল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের তোড়ে উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা, সেই সঙ্গে পড়ে গেছে ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গত রাত থেকে আঁধারে ডুবে আছে অনেক এলাকা। ভারি বৃষ্টিতে নিমজ্জিত অনেক অঞ্চল। আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় নৌ চলাচল। সারাদেশে ১০ প্রাণহানি ঘটিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়টি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের নদনদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। তাতে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চল। গতকাল দুপুর পর্যন্ত মানুষ বাড়িঘরে থাকলেও সবকিছু গুছিয়ে বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাওয়া শুরু করে। অনেকে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে আসতে দেখা গেছে। উপকূলের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্বল হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট। এতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। সারাদিন হতাশা আর ঘূর্ণি ঝড় আতঙ্ক নিয়ে আরও একটি নির্ঘুম রাত পার করল উপকূলের ৬ লাখ বাসিন্দা।

এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের ছয় জেলায় ১০ জন মারা যান। এরমধ্যে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজন ছাড়াও ভোলায় তিনজন, সিরাজগঞ্জে দুইজনসহ নড়াইল, শরীয়তপুর ও বরগুনায় একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও বাতাস কমে গেলেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যদিয়ে কেটেছে উপকূলবাসীর রাত। শক্তি হারিয়ে সিত্রাং এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উপকূলীয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে অনেক মানুষ নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সবার মনে একটাই শঙ্কা, সকালে গিয়ে বসতভিটা দেখতে পাবে তো। নাকি অতীতের মতো আবারও সব হারিয়ে পথে বসতে হবে।সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া একজন বয়স আশি বছর বয়েসি তরু রানী পাল। গতকাল বিমর্ষ চিত্তে বসে আছেন শরণখোলা আরকেডিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সাইক্লোন শেল্টারে। কথায় কথায় বলেন, ‘২০০৭ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ঘরবাড়ি সব হারিয়েছি। শুনলাম আবারও সিডরের মতো বড় ঝড় আসছে। জানিনা ভাগ্যে কী আছে।’

একই বয়সী সুফিয়া বেগম। সোমবার দুপুরের দিকে প্রবল বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হলে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন একটি চাদর ও পোষা শালিক পাখি। ভয়ে আছেন সকালে ফিরে মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘরটুকু দেখতে পাবেন কী না।

উল্লেখ্য, শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ