35 C
আবহাওয়া
২:১৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভোলার স্বীকারোক্তি: বাবুলই মিতু হত্যার নির্দেশদাতা

ভোলার স্বীকারোক্তি: বাবুলই মিতু হত্যার নির্দেশদাতা

ভোলার ন্বীকাররোক্তি: বাবুলই মিতু হত্যার নির্দেশেদাতা

বিএনএ, চট্টগ্রাম: বাবুল আক্তারের নির্দেশেই স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা।

শনিবার(২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাকে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে ভোলা বলেন- বাবুল আক্তার ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার সোর্স ছিলেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। কামরুলের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল ভোলার। কামরুল ভোলাকে বাবুলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকে বাবুলকে বিভিন্ন তথ্য দিতেন ভোলা।

জবানবন্দিতে ভোলা জানান, ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে কামরুল ইসলাম শিকদার ভোলাকে বলেন, স্যার (বাবুল) পারিবারিক সমস্যায় আছেন। তার স্ত্রীকে খুন করতে হবে। এ জন্য ভোলা যাতে অস্ত্র সংগ্রহ করে দেন। তখন ভোলা পারিবারিক বিষয়ে না জড়াতে কামরুলকে অনুরোধ করেন। কামরুল বিষয়টি বাবুলকে জানিয়ে দেন।

পরে বাবুল ভোলাকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে জানালে ঝামেলা হবে বলে হুমকি দেন। এরপর বিষয়টি কাউকে বলেননি ভোলা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করে দেন ভোলা।

কামরুলও শুরুতে রাজি ছিলেন না। তাকে এ কাজ না করলে ‘ক্রসফায়ারের’ হুমকি দিয়েছিলেন বাবুল। এ কারণে কামরুল রাজি হন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেন।

বিএনএ/ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ