29 C
আবহাওয়া
৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

Facebook page taken over by hackers why not closed?

ডেস্ক রিপোর্ট : সারা বিশ্বের  তরুণ থেকে বৃদ্ধ, সবার পছন্দের তালিকায় ফেসবুক। প্রতিনিয়তই  সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। সে সাথে এর একাউন্ট হ্যাক হওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনা।  তবে ফেসবুকের নিজের একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার যথেষ্ট উপায়ও রয়েছে। এসব উপায় যথাযথভাবে অনুসরণ করলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায় :

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন:  ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে  নিরাপদ রাখতে চাইলে এর টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা টুএফএ চালু করতে হবে। ফলে অন্য কেউ লগইনের চেষ্টা করলে আসল ব্যবহারকারী কিনা তা নিশ্চিতে দুটি ধাপ পার করতে হবে। সাধারণত প্রথম ধাপে পাসওয়ার্ড দেয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে ব্যবহারকারীকে একটি লগইন কোডও প্রবেশ করতে হবে, যা ওই ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল ফোন নম্বরে টেক্সট মেসেজ বা ওটিপি হিসেবে পাঠাবে ফেসবুক।

কঠিন পাসওয়ার্ড : ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়া পাসওয়ার্ড অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করাও ঠিক না। পাসওয়ার্ড ছোটবড় অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে কমপক্ষে ৮ সংখ্যার হতে হবে, কেউ যাতে সহজে ধারণা করতে না পারেন।

পাসওয়ার্ড যত দীর্ঘ, ততই নিরাপদ

পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সময় ই-মেইলের ঠিকানা, ফোন নম্বর বা জন্মদিনের মতো অনুমেয় তথ্যগুলোর ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

হোয়্যার ইউ আর লগড ইন: এ সুবিধাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোন অবস্থান ও ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছে তা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের যে কোনো অস্বাভাবিক কার্যক্রম চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়া অপরিচিত কোনো স্থান থেকে লগইন হওয়া ডিভাইসকে নট মি হিসেবে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যাবে।

লগইন অ্যালার্ট: অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কার্যকরী উপায় হলো অপরিচিত লগইনের জন্য অ্যালার্ট চালু করা। গেট অ্যালার্টস অ্যাবাউট আনরিকগনাইজড লগইনস ফিচারটি চালুর মাধ্যমে অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করা হলে মুহূর্তেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মেসেঞ্জার ও নির্দিষ্ট ইমেইলে একটি নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। ফলে সতর্ক হতে পারেন ব্যবহারকারী।

 

সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করা: যদি ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোনো ইমেইল, মেসেঞ্জারে বার্তা বা পোস্ট পান, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না দেওয়া।

ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে সতর্ক থাকা

যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে সেটি বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা যাচাই করতে হবে। এজন্য ওয়েব ব্রাউজারটি হালনাগাদ করে রাখতে হবে এবং ব্রাউজারের অ্যাড-অনস বা যেকোনো অ্যাপের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তা মুছে ফেলতে হবে। অপরাধপ্রবণ ডেভেলপাররা কার্টুন ইমেজ এডিটর বা মিউজিক প্লেয়ারের মতো বিভিন্ন মজার বা কার্যকর অ্যাপের আদলে ক্ষতিকর অ্যাপ তৈরি করে এবং মোবাইল অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুকের ব্যবহারকারীই সবচেয়ে বেশি। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বাড়ছে। সাইবার হামলা ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়ও মুখ্য হয়ে উঠছে। তাই অনলাইনে যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধে ও শেয়ার করা তথ্যের সুরক্ষায়, নিজের নিরাপত্তা রক্ষায় সচেতনতা অবলম্বন জরুরি।

এসজিএন/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ