34 C
আবহাওয়া
১১:০৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তি

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১২

বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তি হচ্ছে। যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ সফর করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন বাইডেন। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ঘোষণা দেন তিনি।

অন্যদিকে বর্ষপূর্তির আগে এক ভাষণে রুশ পরমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি জানান, পারমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর জন্য আরও ব্যয়বরাদ্দ করতে চলেছে তার প্রশাসন।

রুশ-ইউক্রেন লড়াই দুই দেশের মধ্যে থাকেনি, ইউক্রেনের হয়ে পরোক্ষভাবে সংঘাতে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের মিত্র দেশগুলো। মস্কোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এমন বাস্তবতায় পুরো বিশ্বে পড়ছে যুদ্ধের প্রভাব।

বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। ডলারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। দেশে দেশে হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। বিশেষ করে উন্নয়শীল দেশগুলো বেশি সমস্যায় পড়েছে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে অভিয়ান শুরু করেন।

হামলার শুরুতে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গা নিয়ন্ত্রণে নেয় রাশিয়া। কিয়েভ ও খারকিভে আক্রমণ করলেও ব্যর্থ হয় রুশদের। শুরুতে খেরসন দখলে নিলেও পরবর্তীতে ধরে রাখতে পারেনি মস্কো। ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত এবং আশেপাশে কৌশলগত বিজয় লাভ করেছে মস্কো। যদিও শহরটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে লড়ছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা।

দক্ষিণাঞ্চলের খেরসনের প্রাদেশিক রাজধানী কিয়েভ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলেও ডনিপ্রো নদীর পূর্ব দিক রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।

গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরোজিয়া অঞ্চল মুক্ত করে রুশ সেনা। এসব অঞ্চলের আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূমির প্রায় ১৫ শতাংশ। পরে এক গণভোটের মাধ্যমে এ চারটি এলাকা বৈধভাবে নিজেদের অংশ করে নেয় রাশিয়া। কিন্তু ওই গণভোটকে কিয়েভসহ পশ্চিমারা স্বীকৃতি দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রুশ বাহিনীর দখলে আছে। তবে গত দু-এক মাসের পরিস্থিতি বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো পক্ষই বড় কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। ইউক্রেনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে দেশটির বিভিন্ন শহরের বিদ্যুৎসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রুশ হামলা প্রতিরোধে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংকসহ অন্যান্য সমরাস্ত্রের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ইউক্রেন। এগুলো দ্রুত কিয়েভকে সরবরাহ করতে আহ্বান জানাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এদিকে যুদ্ধের এক বছর পূর্তির আগে বুধবার রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এক সভায় ভাষণে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই যুদ্ধ “আঞ্চলিক অস্থিরতা” উসকে দিচ্ছে , এবং সেই সাথে বিশ্ব জুড়ে “উত্তেজনা এবং বিভেদ” সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, আর এ কারণে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংকট সমাধানের ওপর থেকে “নজর এবং সম্পদ” সরে যাচ্ছে।

গুতেরেস হুঁশিয়ার করেন, “পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরোক্ষ হুমকির” কথাও উচ্চারিত হচ্ছে। “ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসার এখন উপযুক্ত সময়।”

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ কমপক্ষে আরও এক বছর চলবে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

 

 

 

 

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ