29 C
আবহাওয়া
৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হেরে গেলেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ!

হেরে গেলেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ!

হেরে গেলেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ!

বিএনএ, চট্টগ্রাম: গত ৮ এপ্রিল বিকালে আনোয়ারা থানার ঝিওরী গ্রামে দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়েছিল মৃত ছিদ্দিক আহমেদের পুত্র ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মোহাম্মদ ইদ্রিচ। কিন্তু ঝগড়ায় লিপ্ত হাসান শরীফ (৪০), আবু সৈয়দ (৫০), জামির হোসেন (২৫), আশরাফ উদ্দিন ও আব্দুর নুর (৩৫) তাকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।

রক্তাক্ত ইদ্রিচ হাসপাতাল থেকে থানায় যাওয়ার আগে দালালের মাধ্যমে ওসির কাছে পৌছে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় বৃদ্ধ ইদ্রিচ চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেননি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে হামলাকারিরা তার বাড়িতে চড়াও হয়। এই অবস্থায় ফের রাত সাড়ে ১১ টার দিকে থানায় গিয়ে তার মামলা নেয়ার অনুনয়-বিনিনয় করেন। কিন্তু ওসি সোহেল তাকে দ্বিতীয় দফা ফেরত পাঠান এবং কিছুদিন ‘গা ঢাকা’ দিয়ে থাকতে বলেন।

ওসির কথা অমান্য করে পরদিন চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ইদ্রিচ। আদালত মামলাটি থানায় লিপিবব্ধ করে আদালতে অনুলিপি পাঠানোর নির্দেশ দেন আনোয়ারা থানার ওসিকে।

ওসি সোহেলের কথা অমান্য করে কেন আদালতে মামলা করেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে মামলার বাদি ইদ্রিচকে  থানায় ডেকে পাঠান ওসি সোহেল। অসুস্থতার কারণে থানায় যাননি ইদ্রিচ। এতে তার আত্মসম্মানে লাগে। ইদ্রিচের ওপর প্রচণ্ড ক্ষেপে যান।

এই অবস্থায় ইদ্রিচের মামলার আসামীদের খবর দিয়ে থানায় নেন ওসি সোহেল। পরবর্তীতে মনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলাকে বাদী করে আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী ইদ্রিচ, তার দুইপুত্রসহ ৬ জনকে আসামী করে জামিন অযোগ্য ধারায় ঘটনার ১০ দিন পর ১৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টায় মামলা রেকর্ড করেন।

এখানেই শেষ নয়, মামলা রেকর্ড করার পরপরই ইদ্রিচকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অথচ ইদ্রিচের মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার দূরে থাক উল্টো আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে ওসি। এই অবস্থায় ইদ্রিচ ও তার দুইপুত্র ওসি সোহেলের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইদ্রিচসহ পাল্টা মামলার ৬ আসামী জামিন আবেদন করেন। আদালতে আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা চৌধুরী আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূর্নীতি-অনিয়মের বিবরণ তুলে ধরেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন আইনজীবীদের বক্তব্য ও উপস্থাপনকৃত দলিলাদি পর্যবেক্ষণ করে সব আসামীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ