34 C
আবহাওয়া
৭:০৭ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৭১( নোয়াখালী-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৭১( নোয়াখালী-৪)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম।

YouTube player

আজ থাকছে নোয়াখালী-৪ আসনের হালচাল। জাতীয় সংসদের ২৭১ তম আসনটি নোয়াখালী সদর ও সুর্বনচর উপজেলা নিয়ে গঠিত।

প্রসঙ্গত, অনেকের কাছে এই আসনটির সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বিভ্রান্ত বা খটকা লাগতে পারে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুয়ায়ী জাতীয় সংসদের ২৭১তম সংসদীয় আসনটি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন থেকে নোয়াখালী ৪ হিসাবে উল্লেখ রয়েছে। জাতীয় সংসদের প্রথম ও দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে এটি নোয়াখালী-৫ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় থেকে ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ২৭০তম আসনটি নোয়াখালী- ৩ নামে পরিচিত হয়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই আসনটির নাম বদলে হয় নোয়াখালী-৪।

অর্থাৎ ২৭১ সংসদীয় আসন থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম সেইসব সংসদ সদস্যেদের তালিকা এবং নির্বাচনী তথ্য-উপাত্ত, এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

সংসদীয় আসন ২৭১ এ ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬ শত ৭৮ জন। ভোট প্রদান করেন ৫১ হাজার ১ শত ৮৯ জন। নির্বাচনে বিএনপির সালাউদ্দীন কামরান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১১ হাজার ৩ শত ৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১০ হাজার ৮২ ভোট ।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির সালাউদ্দীন কামরান কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮৯ হাজার ৮ শত ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেন ৫৬ হাজার ৩ শত ২১ জন। নির্বাচনে বিএনপির মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৫ হাজার ৫ শত ৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১৬ হাজার ৪ শত ৫৮ ভোট।

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ২৯ হাজার ২ শত ৩১ জন। ভোট প্রদান করেন ৮৬ হাজার ১ শত ৪০ জন। নির্বাচনে বিএনপির মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫০ হাজার ৩ শত ৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদুর রহমান বেলায়েত । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২৭ হাজার ৯ শত ৭৮ ভোট।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে সীমানা পুণ:নির্ধারনের পর জাতীয় সংসদের ২৭১ তম আসনটি নোয়াখালী-৪ নামে পরিচিত হয়। যা আগে নোয়াখালী-৩ ছিলো।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৫ শত ৪১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩ শত ৯২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌধুরী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১লাখ ২৯ হাজার ৩ শত ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোঃ শাজাহান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১লাখ ১৯ হাজার ৫ শত ৮ ভোট।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী মোঃ একরামুল করিম চৌঃ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৭ শত ৪০ জন। ভোট প্রদান করেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫ শত ১৮জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌঃ,ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মোঃ শাজাহান ,লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল হান্নান, দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে খেলাফত মজলিসের আবদুল আলী, মই প্রতীকে সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর মহিন উদ্দিন চৌঃ, টেলিভিশন প্রতীকে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর সামসুন নাহার এবং বট গাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলনের ফরিদ মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌঃ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোঃ শাজাহান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ২৩ হাজার ২ শত ৫৭ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং নবম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর নোয়াখালী-৪ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, নোয়াখালী-৪ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৩৮.০১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৯.৭০%, বিএনপি ২২.২৩%, জাতীয় পাটি ৮.৩৫%, জামায়াত ইসলামী ১৩.২৯% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩৬.৪৩% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬২.৬৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯.২২%, বিএনপি ৪৫.৪০% জাতীয় পাটি ১০.৪৭%, জামায়াত ইসলামী ১০.৭২% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৪.১৯% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৬.৬৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩২.৪৮%, ৪ দলীয় জোট ৫৮.৪৮%, জাতীয় পাটি ৭.০১% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.০৩% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮১.৭৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৪৫.৯১%, ৪ দলীয় জোট ৪১.৪৬% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১২.৬৩% ভোট পায়।

নোয়াখালী-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌধুরী, একরামুল করিম চৌধুরীর বাইরে এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ইকবাল মাহমুদ বাবলু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ তিনি জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান করার জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। তার রিটের রায়ে হাইকোর্ট জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগানের রায় দেন।

এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন মহাজোটের শরিক বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের কারণে এই আসনটি বিকল্প ধারাকে ছেড়ে দিতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে এলাকায়।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান। তিনি বিএনপির একক প্রার্থী।

নির্বাচনী ভাবনায় বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, অবহেলিত নোয়াখালী-৪ আসনকে আমি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পরিকল্পনায় সাজিয়েছি। বিশেষ করে সুবর্ণচরকে উন্নয়নের মডেল উপজেলায় রূপান্তর করেছি।এ আসনের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনোনয়ন দেন তা হলে নির্বাচন করব এবং বিজয়ী হবো।

নির্বাচনী ভাবনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হলে দলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংসদীয় আসন ২৭১ (নোয়াখালী সদর ও সুর্বণ চর) বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের পঞ্চম থেকে ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এই আসনটিতে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আসনটি হাত ছাড়া হয়ে যায়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একামুল করিম চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ নির্বাচিত হন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে পারে। দলীয় কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগ। দলে একরাম চৌধুরী গ্রুপ কোনঠাসা। সক্রিয় তার বিরোধী গ্রুপ। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ভাই কাদের মির্জার সঙ্গে একরাম চৌধুরীর সর্ম্পক সাপে নেইলে! যা নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। বিপরীত চিত্র বিএনপিতে। দলীয় ঐক্য বিদ্যমান। বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতা দৃশ্যমান না হলেও তৃণমুল পর্যায়ে প্রচুর ভোট রয়েছে। সেদিক থেকে এই আসনে নির্ভার রয়েছে বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৭১তম সংসদীয় আসন (নোয়াখালী-৪) আসনটিতে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, ওজি, ওয়াইএইচ 

Loading


শিরোনাম বিএনএ