23 C
আবহাওয়া
১১:২২ অপরাহ্ণ - মে ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সংস্কারের অভাবে বেহাল ববির কেন্দ্রীয় মাঠ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

সংস্কারের অভাবে বেহাল ববির কেন্দ্রীয় মাঠ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা


।। রবিউল ইসলাম।। 

বিএনএ, ববি : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটিমাত্র খেলার মাঠ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেহাল দশা হয়েছে মাঠটির। শিক্ষার্থীরা বলছেন সংস্কারের অভাবে মাঠটি খেলার অনুপযোগী মাঠে পরিণত হয়েছে। এতে মাঠে খেলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বছরে একবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের সময় সংস্কার করা হয় মাঠ। কর্তৃপক্ষের দাবি বাজেট স্বল্পতার জন্য তারা চাইলেও অন্যান্য সময়ে সংস্কার করতে পারেন না।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে প্রথমত মাঠের বিভিন্ন অংশে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। খেলতে গিয়ে এই খাদে পা পড়েই কারো পায়ে ফ্রাকচার হচ্ছে, কারো পা মচকে বা ভেঙে যাওয়ার মত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন খেলোয়াড়রা। এছাড়াও, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুম এলেই মাঠের বিভিন্ন অংশে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকে, এতে দীর্ঘদিন মাঠ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

কিছুদিন আগে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর খেলতে গিয়ে প্রথমে খাদে পা আটকে যায় পরবর্তীতে বিপরীত দলের এক খেলোয়াড়ের আঘাতে তার পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। ঐ শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে বলেন, মাঠের অবস্থা খুবই নাজুক। মাঠে খেলার পরিবেশ প্রায় নেই বললেই চলে, বালু উঠে গিয়ে বিভিন্ন অংশে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এই খাদে পা আটকে গিয়েই আজ আমার এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

গত ৯জুন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীও মাঠে খেলতে গিয়ে খাদে পা আটকে গিয়ে পায়ে ফ্রাকচার হয়। ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাসুদেব কর্মকার বলেন, আমাদের খেলার মাঠ থেকে ধানের ক্ষেত সমান আছে। এখানে খেলতে গিয়ে হাত পা ভাঙ্গা সাধারণ বিষয় হয়ে পড়েছে। মাঠ সমস্তটাই বালু দিয়ে ভরাট করা। নিয়মিত সংস্কার না করায় অনেক খাদের সৃষ্টি হয়েছে , প্রশাসন জাতীয় দিবস গুলায় যে গর্তগুলো করে সেই গর্ত আর মাটি দিয়ে ঢেকে দেয় হয় না। আমরা প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ আহত হই খেলতে গিয়ে। বিগত তিন মাসে চার জনের পা ভেঙ্গেছে। একজন শিক্ষার্থীর পায়ের লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে গর্তে পা পড়ে তার অপারেশন করতেই ৪ লাখ টাকা দরকার। তার বন্ধুরা শিক্ষার্থীদের থেকে সাহায্য চাইছে। আমার নিজেরও পায়ের আঙ্গুলে ব্যাথা তিন মাস যাবত। এভাবে চলতে থাকলে মাঠে কিছুদিন পর খেলাতে মানুষ পাওয়া যাবে না। এটার সম্পূর্ণ দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি মাসে একবার করে রোলার করার জন্য, তাহলে মাঠটি খেলার উপযোগী থাকবে।

এই বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক রিফাত মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টের আয়োজনের সময় মাঠ সংস্কার করে থাকি। মাঠের বিভিন্ন অংশে মাটি ফেলে রোলার করা হয়ে থাকে তখন। আমাদের বাজেটের অপ্রতুলতার কারণে ওই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পূর্বে ছাড়া অন্য- সময়ে মাঠ সংস্কার করতে পারি না।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ