বিএনএ ডেস্ক: কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ৪৫ মিনিট যানজটে আটকে থাকার পর ‘দায়িত্বে অবহেলা’র অভিযোগে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওসি আবুল হাসিমকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করেছেন ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। সাড়ে ৮টার দিকে মুরাদনগর থানার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে দীর্ঘ যানজটে পড়েন তিনি।
সেসময় সেখানে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম কিংবা পুলিশের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। পরে দুপুরেই ওসিকে মুরাদনগর থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের একটি আদেশের বরাত দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ওসি আবুল হাসিমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হলো। নির্দেশিত কর্মস্থল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে প্রত্যাহারের ওই আদেশে ডিআইজির যানজটে আটকে থাকার কোনো বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, যানজটে পড়ার কারণে নয়, ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে দায়িত্বে অবহেলার কারনে। জানান, মুরাদপুর কোম্পানিগঞ্জ এলাকায় তিনি প্রায় ৪৫ মিনিট যানজটে আটকে ছিলেন। তার গাড়ি বাসের শ্রমিকরা অন্য পথ দিয়ে ঘুরিয়ে পার করে দিয়েছে। কিন্তু অন্য জনসাধারণের গাড়ি কীভাবে পার হবে? এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে।
এরকম স্কুল বা অফিস আওয়ারে যদি সড়কে এমন যানজট থাকে, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ যেই থাকুক এখানে থানার একটা দায়িত্ব আছে। যেসময়টায় যানজট থাকে সেসময় এখানে দুজন পুলিশ থাকবে যারা যানজটটা নিয়ন্ত্রণ করবে, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু আমি কোনো পুলিশ সদস্য সেখানে দেখিনি। জনসাধারণের প্রতি দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি আমার নজরে আসায় এবং ওসির দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলি করা হয়েছে।
ডিআইজি জানান, ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (এসপি, অতিরিক্ত এসপি) দায় এড়াতে পারেন না।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, ডিআইজি স্যার যে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করবেন সেটি সব চ্যানেলেই জানিয়ে দেয়া হয়। তবুও সড়কে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ছিল না। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ওসি আবুল হাসিম বলেন, ‘ডিআইজি স্যার ওই সড়কপথে সকাল বেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন এমন কোনো তথ্য তার কাছে ছিল না। চিঠি পাওয়ার পর ইতোমধ্যেই মুরাদনগর ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন বলে জানান তিনি।
বিএনএ/এ আর
