30 C
আবহাওয়া
৩:৫৩ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এবার আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানি হামলা

এবার আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানি হামলা


বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনের পর এবার আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালালো খালিস্তানি সমর্থকরা। ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয় খলিস্তানি পতাকা। হাতে অস্ত্র নিয়ে দূতাবাসে চড়াও হয় তারা।

এসময় খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে মুক্ত করার দাবি জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস আক্রমণ করা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা করেছে নয়াদিল্লি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ মার্চ) সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটে খলিস্তানের হলুদ পতাকা ও দেয়ালে ‘ফ্রি অমৃতপাল’ লেখা গ্রাফিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতে অস্ত্র নিয়ে দূতাবাসে ঢুকে পড়েছে একদল খলিস্তানপন্থী। তাঁদের ব্য়াকগ্রাউন্ডে চলছে পাঞ্জাবি গান। দূতাবাসের বাইরে জাতীয় পতাকা নামিয়ে খলিস্তানি পতাকা টাঙিয়ে দেয় তারা। এমনকী, দূতাবাসের দেওয়ালে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে লিখে দেয়, ফ্রি অমৃতপাল সিং। বাংলায় যার অমৃতপাল সিংকে মুক্ত করো। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়ে তাদের সংগঠনের পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয়। ফের উত্তোলন করা হয় তেরঙা।

উল্লেখ্য, ‘খালিস্তান’ দক্ষিণ এশিয়ার পাঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম দেশ। প্রস্তাবিত রাষ্ট্রকে ভূখণ্ডগতভাবে ভারতীয় পাঞ্জাব রাজ্য থেকে শুরু করে বৃহত্তর পাঞ্জাব অঞ্চল পর্যন্ত অথবা প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্যসমূহকেও অন্তর্ভুক্ত করে সংজ্ঞায়িত করা হয়। পাঞ্জাব অঞ্চল শিখদের ঐতিহ্যগত মাতৃভূমি। ইংরেজ দ্বারা অধিকৃত হবার আগে পাঞ্জাব শিখদের দ্বারা ৮২ বছর শাসিত হয়; ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র পাঞ্জাব শিখ মিসল (সার্বভৌম শিখ রাষ্ট্র) সমূহের অধীন ছিল, তারপর মহারাজা রণজিৎ সিং শিখ মৈত্রী সঙ্ঘকে শিখ সাম্রাজ্যের মাঝে একীভূত করেন।

সেখানে শিখদের পাশাপাশি অনেক হিন্দু ও মুসলিমও বসবাস করত। ১৯৪৭ সালের আগে শিখরা ব্রিটিশ অখণ্ড পাঞ্জাব রাজ্যের শুধুমাত্র লুধিয়ানা জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগ যখন মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানায়, তখন কিছু শিখ নেতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে হিন্দু ও মুসলিমের ভিত্তিতে ভারত বিভাজিত করলে শিখ সম্প্রদায়ের কোনো স্বাধীন মাতৃভূমি থাকবে না। তারা তখন বৃহত্তর পাঞ্জাব অঞ্চলে বিস্তৃত খালিস্তান নামক একটি ধর্মরাষ্ট্র সৃষ্টির ধারণা পেশ করেন। তখন থেকে এই আন্দোলনের সূত্রপাত।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ