23 C
আবহাওয়া
৭:০৮ পূর্বাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ট্রেনে ফের অগ্নিসংযোগ, ৪ জনের মৃত্যু

ট্রেনে ফের অগ্নিসংযোগ, ৪ জনের মৃত্যু

তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন

ঢাকা:  রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একটি বগি থেকে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।তারা আগুনে পুড়ে মারা যান। ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় ট্রেনে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

নিহতরা হলেন : নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৩)। এছাড়া বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর। 

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

তাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপনে সক্ষম হয়। একটি ট্রেনের বগি থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন যাত্রীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হবার পর যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগুন দেখতে পান। এর পর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।

আগুনে পুড়ে অঙ্গার

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া চারটি মরদে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত ইয়াসিনের মামা হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে। ৩ ডিসেম্বর তারা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন।সেখান থেকেই ঢাকায় ফেরার উদ্দেশ্যে গত রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে রওনা দিয়েছিলেন। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সঙ্গে ছিলেন হাবিবুর, ইয়াসিন, ইয়াসিনের বড় ভাই ফাহিম (৮) ও তাদের মা নাদিরা।

তিনি জানান, তেজগাঁও রেল স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে তখন কিছু যাত্রী নেমে যায়। এ সময় তাদের পেছনের সিটে থাকা দুই ব্যক্তিও নেমে যান। এরপর পেছনের সিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে হাবিবুর ও ফাহিমসহ অন্য যাত্রীরা নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন ইয়াসিন ও তার মা নাদিয়া। তাদেরকে আর কোনোভাবেই বের করতে পারেননি। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ বের করেন।

তিনি আরও জানান, নিহত নাদিয়ার স্বামী নাম মিজানুর রহমান মিজান। তিনি কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়ার দোকানে কাজ করেন। তেজগাঁও তেজতুরি বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ চারটি সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর  দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ওই দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত হয়।

জয়পুরহাটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া পার্বতীপুরগামী উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের একটি বগিতে গত ১৫ ডিসেম্বর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিএনএ, আহা, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ