23 C
আবহাওয়া
১:২৭ পূর্বাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না

রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না


বিএনএ, ঢাকা: ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা ঢাকা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের মৌলিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোনো আপস করবে না। বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বিষয়টি প্রটোকলের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, হোলি আর্টিজানের ঘটনার পরপর, কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এখন তা কমানো হচ্ছে।

ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা ঢাকা নিশ্চিত করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূতদের সড়কে চলাচলের সময় পুলিশের এসকর্ট শুধু থাকছে না। তবে অফিস ও মিশনের দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। আর তারা যদি বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চান, সেক্ষেত্রে আনসার থেকে তারা এ সার্ভিস হায়ার করতে পারেন।

ঢাকায় থাকা বিদেশি কয়টি মিশনকে বাড়তি পুলিশ এসকর্ট দেয়া হতো জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমার জানামতে, নিয়মিতভাবে চারটি দেশকে দেয়া হতো। এ ছাড়া আরও এক–দুইটা দেশ যখন চাইত, তখন তাদের তা দেয়া হতো।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, গতকাল থেকে বাড়তি পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকর হয়ে গেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কূটনীতিকরা কোথায় পতাকা ব্যবহার করবেন, আর কোথায় করবেন না, সে বিষয়ে আশা করি তারা সজাগ থাকবেন। আমি যখন ব্যক্তিগত কাজ ও শপিংয়ে যাই, তখন পতাকা ব্যবহার করি না।

এর আগে সোমবার (১৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সরকারি খরচে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেয়া হবে না। কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তবে বিদেশি কূটনীতিকেরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবেন।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশদ বিবরণে কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমি উল্লেখ করতে চাই, কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, যে কোনো দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে এবং কর্মীদের ওপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বেদান্ত প্যাটেলের ভিয়েনা কনভেনশন সংক্রান্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভিয়েনা কনভেশনে যে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে স্বাগতিক দেশ হিসেবে আমরা অবশ্যই সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অবশ্যই মেনে চলব।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ