34 C
আবহাওয়া
১১:০৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কুলাউড়ায় আটক জঙ্গিদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার!

কুলাউড়ায় আটক জঙ্গিদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার!

কুলাউড়ায় আটক জঙ্গিদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার!

বিএনএ, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের কালাপাহাড়ে নতুন জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক ১৭ জনের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অভিযানে জঙ্গি আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ‘অপারেশন হিলসাইড’র সমাপ্তি ঘোষণা দেন।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সোহেল তানজিম (৩০)। তিনি গত ২৬ জুলাই থেকে স্ত্রীসহ নিখোঁজ ছিলেন। এ ছাড়া রয়েছেন চীনে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা দুই শিক্ষার্থী।

এর আগে সোমবার (১৪ আগস্ট) ওই আস্তানা থেকে পালিয়ে আসা ইমাম মাহমুদের কাফেলার ১৭ সদস্যকে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর বেরিয়ে আসে দুর্গম পাহাড়ে নতুন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান।

কুলাউড়ায় আটক জঙ্গিদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার!
আটক জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলার’কয়েকজন সদস্য

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার সকালে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজারের স্থানীয় মানুষ ১৭ ব্যক্তিকে আটক করেন। এই খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের টিম গত শনিবার যে আস্তানায় অভিযান চালায়- তারা সেখান থেকে আটককৃতদের সহযোগী বলে আমরা নিশ্চিত হই। সেখান থেকে তাদের আমাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসি। রাতভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এক্সক্লুসিভ কিছু তথ্য পাই। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই কালাপাহাড়ে তাদের আরেকটি আস্তানা আছে বলে আমাদের জানায়।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমরা ভোরে ওই আস্তানা সন্ধানের জন্য বের হয়। দুর্গম প্রায় ২০টি পাহাড় পাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হই। সেখানে গিয়ে বিশেষায়িত ফোর্স অনুসন্ধান চালিয়ে দুটি ঘর থেকে ৬ কেজি বিস্ফোরক, ১৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। আটক ১৭ জন সবাই স্বীকার করে তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার সদস্য। আটক করার সময় তাদের সাথে নগদ ২ লাখ টাকা, দুটি বড় দা, ৯৫টি ডেননেটার এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি এখানে ওই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্ররা রয়েছে। তাদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারও আছেন। যেহেতু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা অনেক সময় ও কৌশলের প্রয়োজন হয়, তাই এই মুহূর্তে তাদের মূল পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

আটকরা হলেন- নাটোরের গাঁওপাড়ার জুয়েল মাহমুদ (২৮), সিরাজগঞ্জের পুরাবাড়ির সোহেল তানভীর রানা (৩০), কক্সবাজারের রামুর সাদমান আরেফিন ফাহিম (২১) মো. ইমতেজার হাসসাত নাবীব (১৯), যশোরের মোল্লাপাড়ার ফাহিম খান (১৭), পাবনার আতাইকোলার মো. মামুন ইসলাম (১৯), গাইবান্ধার চাদপাড়ার রাহাত মণ্ডল (২৪), জামালপুরের সোলাইমান মিয়া (২১), নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আরিফুল ইসলাম (৩৪), বগুড়ার হাটশিপুরের মো. আশিকুল ইসলাম (২৯), পাবনার আতাইকুলার মামুন ইসলাম (২৬), ঝিনাইদহের ছয়াইলের তানভীর রানা (২৪), সাতক্ষীরার তালার জুয়েল শেখ (২৫), পাবনার আতাইকুলার রফিকুল ইসলাম (৩৮), পাবনার সাথিয়ার মো. আবির হোসেন (২০), মাদারীপুরের মেহেদী হাসান মুন্না (২৩) ও টাঙ্গাইলের কোয়েল (২৫)।

বিএনএনিউজ/বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ