31 C
আবহাওয়া
১১:২৪ অপরাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শিখ ও হিন্দুরা পুন:নির্মাণ করে দিচ্ছে ১৬৫ টি মসজিদ

শিখ ও হিন্দুরা পুন:নির্মাণ করে দিচ্ছে ১৬৫ টি মসজিদ

১৬৫ টি মসজিদ পুনরুদ্ধার করে দিচ্ছে মুসলমানদের

বিশ্ব ডেস্ক:  ঘৃণার দম বন্ধ করা পরিবেশে বন্ধুত্বের অন্য গল্প লিখছে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। ভাটিন্ডার বখতগড়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। মসজিদের জন্য জমি দিয়েছেন কৃষক অমনদিপ সিং। তিনি শিখ অনুসারী। মসজিদ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ২ লক্ষ টাকা জোগাড় করেছেন ওই গ্রামের শিখ ও হিন্দুরা মিলে। মসজিদ নির্মাণে প্রয়োজনীয় সিমেন্ট আর ইটের জোগান দিয়েছেন পাশের শিখ ও হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দারা। এ তো গেল একটা মসজিদের কথা। এমন প্রায় ১৬৫ টি জরাজীর্ণ মসজিদ খুঁজে বের করে সেগুলি নতুন করে সারিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের হাতে তুলে দিয়েছেন পাঞ্জাবের শিখ ও হিন্দুরা।

সম্প্রীতির নজির তৈরি করছে পাঞ্জাবের শিখ ও হিন্দুরা

গত ৯ বছরে বিভিন্ন মসজিদের নিচে শিবলিঙ্গ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা। কোথাও জয় শ্রী রাম বলতে বলতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে মসজিদে রাখা জায়নামাজে। এমন ঘৃণার পরিবেশে সম্প্রীতির নজির তৈরি করছে পাঞ্জাবের শিখ ও হিন্দুরা। যে সব এলাকার মুসলমানরা দরিদ্র, সেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড থেকে শুরু করে সবরকম দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন এলাকার শিখ আর হিন্দুরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানকার গুরুদ্বারাগুলি।

মসজিদের পুন:নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছেন শিখ ও হিন্দুরা

পাঞ্জাবে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হলেও সেখানে প্রচুর মসজিদের সন্ধান পাওয়া যায়। সেগুলি এতটাই পুরোনো যে সেই সব মসজিদের দেয়াল থেকে প্লাস্টারও খসে পড়েছে। কারণ দেশ ভাগের আগে পাঞ্জাবে মুসলমানদের বাস ছিল। স্বাধীনতার আগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে মুসলমানরা পাকিস্তানে চলে যান। নব নির্মিত পাঞ্জাবে তখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে মুসলমানরা। যার কারণেই বহু মসজিদে নামাজ পড়ার কেউ ছিল না। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এখন সেগুলি নতুন করে পুন:নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছেন শিখ ও হিন্দুরা।

গুজ্জর মুসলমান

এখন পাঞ্জাবে মসজিদের প্রয়োজন বেড়েছে কারণ হিমাচল প্রদেশের মুসলমানরা দলে দলে এসে পাঞ্জাবে থাকতে শুরু করেছেন। হিমাচল প্রদেশের বনাঞ্চলে গুজ্জর মুসলমানদের বাস ছিল। সম্প্রতি সে রাজ্যের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ও বনআধিকারিকদের চাপে বনাঞ্চল ছেড়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে তারা পাঞ্জাবে বাস করা শুরু করেছেন।

যে কোনও নির্বাচনের আগে ঠান্ডা ঘরে বসে ঘৃণার চারাগাছ লাগায় বড় একটি রাজনৈতিক দল। এরপর কোথাও গোরক্ষার নামে চলে নৃশংসতা। কখনও বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকাতে তৈরি করা হয় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, ‘কাশ্মীর ফাইলস্’, ‘বাহাত্তর হুরে’-র মত ছবি। এই সবের মাঝে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে পাঞ্জাবের শিখ ও হিন্দুদের প্রচেষ্টা নজর কাড়ছে পুরো ভারতবর্ষের। ছবি ও খবর সূত্র : পুবের কলম

বিএনএনিউজ২৪/হাসনাহেনা।

Loading


শিরোনাম বিএনএ