33 C
আবহাওয়া
৪:০০ অপরাহ্ণ - মে ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফুলে লাভের আশায় যশোরের চাষিরা

ফুলে লাভের আশায় যশোরের চাষিরা


যশোর প্রতিনিধি :ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পহেলা ফাল্গ–ন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর এ তিন দিবসে ফুলের বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের গদখালি ও শার্শা এলাকার ফুলচাষিরা। ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে পুরো ফ্রেরুয়ারি মাসটি উৎসবের মাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

দুই বছর আগে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের মন রাঙাতে গদখালির ফুলচাষিরা নতুন উপহার হিসেবে এনেছিলেন ‘লং স্টিক রোজ’। ভারতের পুনে থেকে চারা এনে ৪০ শতক জমিতে দেশে প্রথমবারের মতো বিশেষ ধরনের গোলাপের জাতটির চাষ শুরু করেছিলেন যশোরের গদখালির ইনামুল হোসেন। অন্য জাতের গোলাপ ফুল গাছ থেকে তোলার পর যেখানে ৪-৫ দিনের বেশি রাখা যায় না, সেখানে লং স্টিক গোলাপ রাখা যায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত। এর স্টিক বেশ শক্ত। দামও মিলছে দ্বিগুণ। এসব কারণে ইনামুলের দেখাদেখি এ অঞ্চলের বেশিরভাগ চাষির মাঠে শোভা পাচ্ছে গোলাপের নতুন এই জাত। তবে এবার নতুন জাতের ফুল উপহার দিতে না পারলেও এখানকার চাষিরা ফুলপ্রেমীদের দিচ্ছেন চমকপ্রদ খবর। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জারবেরা চারায় ফুল ফোটাতে যাচ্ছেন তারা। এ গাছে আগামী বাংলা নববর্ষের আগেই ফুল ফুটবে বলে আশা করছেন চাষিরা। এতদিন বেঙ্গালুরু থেকে চারা এনে জারবেরা চাষ করতেন চাষিরা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরআরএফ যশোরের টিস্যু কালচার সেন্টার জারবেরার চারা তৈরি করছে।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্যমতে, এবার যশোরে পাইকারি পর্যায়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যশোরে প্রায় ৬ হাজার ফুল চাষি ৬৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফুল চাষের সাথে সম্পৃক্ত। এখানে বেশি চাষ হয় গ্যালোরিয়াস, রজনীগন্ধা ও গোলাপ। তাদের উৎপাদিত জারবেরা, গঁাদা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল সারা দেশের মানুষের মন রাঙাচ্ছে ।

গদখালির ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী ইসমাঈল হোসেন জানান, পৈত্রিক জমিতে তিনি আগে ধান-পাট ও রবি শস্যের আবাদ করতেন। এখন সেখানে ফুল চাষ করেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হয়েছেন।

ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, যশোরের ঝিকরগাছা, বর্তমানে ইউরোপের বাজারে ফুল রফতানির আশায় পলি হাউসে ফুলের আবাদ করছেন এখন চাষিরা। যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপপরিচালক এমদাদ হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, এবার জেলায় ৬৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করা হয়েছে। দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগের বেশি যশোরের গদখালি ও শার্শা থেকে সরবরাহ করা হয়।

Loading


শিরোনাম বিএনএ