বিএনএ, ঢাকা: ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালি ভূমিকম্পের ১৪০ ঘন্টা পার হলেও তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। দুই দেশে এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের সময় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে, নির্মাণ ব্যর্থতার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব আরও খারাপ হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবন নির্মাণের ঘটনায় ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবাই কোনো না কোনো ভবন নির্মান বা ডেভেলপার কোম্পানির মালিক, কর্মকর্তা কিংবা ঠিকাদার। সামনের দিনগুলোতে পরোয়ানা জারি ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ লুটপাটে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনতে সহায়তা করবে। তিন মাসের জরুরি অবস্থার বিষয়ে তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, জরুরি অবস্থা ঋণদাতা ও রাষ্ট্রদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে ভূমিকম্পের বিপর্যয়ের পরবর্তী শোষণ থেকে বিরত রাখবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কঠোর নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এত বড় ট্র্যাজেডি এড়ানো যেত কি না, প্রাণহানি কমাতে এরদোয়ান সরকার আরও কিছু করতে পারতো কি না, জনমনে এখন এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
কয়েক মাস পরেই তুরস্কে জাতীয় নির্বাচন। অনেকের দাবি, এই ভূমিকম্প এরদোয়ানের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে বড় ধরনের ধাক্কা দেবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জাতীয় মুদ্রা লিরার মান কমে যাওয়ায় বর্তমান প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে। এখন উদ্ধার কাজে ধীরগতি ও ত্রাণ বিতরণে দেরি জনমনে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার মূল্য দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে দিতে হতে পারে।
বিএনএ/এমএফ