32 C
আবহাওয়া
১২:০২ অপরাহ্ণ - মে ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫৯ (কুমিল্লা-১১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫৯ (কুমিল্লা-১১)


বিএনএ, ঢাকা:  বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে কুমিল্লা-১১ আসনের হালচাল।

কুমিল্লা–১১ আসন

কুমিল্লা-১১ সংসদীয় আসনটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৫৯ তম আসন। একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনটির বুক চিড়ে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ভারত সীমান্তবর্তী এই আসনটি নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত।

১৯৭৩ সালের এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর, বীর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কাজী জহিরুল কাইয়ুম বাচ্চু মিয়া।

জেনারেল এরশাদ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ সালের তৃতীয় এবং চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়ে প্রথমে মন্ত্রী, পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কাজী জহিরুল কাইয়ুমের ভাতিজা, শ্রমিক নেতা কাজী জাফর আহমেদ।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: শ্রমিক নেতা কাজী জাফর আহমেদ বিজয়ী হন

এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই আসন থেকে। কিন্তু ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য, সাবেক রেলপথমন্ত্রী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হকের কাছে পরাজিত হন। জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক মেরুকরণে রাজনীতিতে একঘরে হন এক সময়কার দাপুটে রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমেদ।

৯০ এর দশকে এরশাদ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় সারাদেশে জামায়াত শিবিরের উত্থান হয়। ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং ডামেকসুর সাবেক জিএস ডা. আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মজিবুল হক মুজিব বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুল হক মুজিবের কাছে হেরে যান। দুটি নির্বাচনেই অপ্রত্যাশীত ভোট পান জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: জামায়াতের ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিজয়ী হন

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোট হয় জামায়াত ইসলামীর। সেই সুবাদে এই আসনে ৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন পান ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিবকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে সেনা শাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের আবারও মনোনয়ন পান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। কিন্তু এবার মুজিবুল হক মুজিবের কাছে ধরাশায়ী হন ডা. তাহের।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪ শত জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯ শত ৬৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৭ হাজার ১ শত ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতের ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের । দাড়িঁপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ৯ শত ২৪ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক বিজয়ী হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোঃ মুজিবুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজযী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৮ হাজার ২শত ৮০ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬ শত ৯৬ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক, ধানের শীষ প্রতীকে ২০ দলীয় ঐক্যে জোটের অন্যতম জামায়াত ইসলামীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির তাজুল ইসলাম বাবুল,হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া এবং কুলা প্রতীকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শামছুল হক জেহাদী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৮২ হাজার ৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া। হাত পাখা প্রতীকে তিনি পান মাত্র ২ হাজার ২ শত ৬৪ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন সাবেক রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন দৌড়ে মুজিবুল হক এগিয়ে আছেন। এছাড়া এবারে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে সভা-সমাবেশ, প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক কামাল আবদুল নাছের চৌধুরী, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কমিটির সদস্য এম. তমিজ উদ্দিন সেলিম, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশিদ বুলু এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন।

বিএনপি এই আসনটি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর কাছে ছেড়ে দিলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার দাবি বেশ জোরালো। এবার এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি কামরুল হুদা। এখনো পর্যন্ত তাকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে ধরে নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের সময় চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিএনপি র চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে ১ নম্বর ও কামরুল হুদাকে ২ নম্বর আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৯ মাস কারাবাস করে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। তখন থেকে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, পরে সম্মেলনের মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি নির্বাচিত হন।

ক্লিন ইমেজ ও তারুণ্যের প্রতীক খ্যাত কামরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রিজভী আহমেদসহ প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।
২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক জিয়ার সাজা বাতিল এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চের আয়েআজন করে বিএনপি। তারুণ্যের এই রোডমার্চে চমক দেখিয়েছেন কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী কামরুল হুদা। বিএনপির এই তরুণ নেতার নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশে প্রায় ৪০ কিলোমিটির এলাকায় অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানায়। নেতাকর্মীদের বাধভাঙ্গা উচ্চাসের কারণে চৌদ্দগ্রাম এলাকাটি পার হতে রোর্ডমাচের প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। কামরুল হুদার নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাকর্মীর নজিরবিহীন উপস্থিতি দলের সেক্রেটারি মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিষ্ময় প্রকাশ করে।

এছাড়াও বিএনপি থেকে আরও মনোনয়ন চাইবেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি কাজী নাছিমুল হক, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাছুম, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়াজ মাখদুম মাছুম বিল্লাহ, সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ।

নির্বাচনী ভাবনায়, সাবেক রেলমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটানা তাকে ৭ বার দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনি ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেছেন। জনগণ তার সঙ্গে আছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনেও এই আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুজিবুল হক।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সভাপতি কামরুল হুদা বলেন, এলাকার মানুষ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ মুক্ত ভাবে বসবাস করতে চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই আসনে দলীয় পরীক্ষিত নেতাকে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে সংসদে পাঠাতে চায়। দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার ভোটারদের সম্মান জানিয়ে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি থাকলেও, এরশাদ আমলে এই আসনটি চলে যায় জাতীয় পার্টির দখলে। যা ফিরে পেতে আওয়ামী লীগকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯৯৬ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি চলে গিয়েছিল বিএনপির সমর্থনে জামায়াত ইসলামীর ঘরে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত জোটকে পরাজিত করে আসনটি পুনরুদ্ধার করে আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অতীতে এই আসনে বিভক্তি না থাকলেও গত ৫ বছর ধরে বিভক্তি ও অন্ত:দলীয় কোন্দল বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দলীয় দ্বন্ধের প্রকাশ্য রুপ পেয়েছে সর্বশেষ চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নিজেদের বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করায় দলীয় বিভক্তি প্রকাশ্যে রুপ পায়।
২০২৩ সালের ৬ জুন বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুল হক গ্রুপ ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। অসংখ্য বাড়িঘর, দোকান, গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। এমনকি জাতীয় সংসদেও বিষয়টি আলোচিত হয়। এ অবস্থায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই আসনে বিজয়ী হওয়া কঠিন হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ও দলীয় ভোটকে পুঁজি করে বিএনপি ও জামায়াত এই আসন থেকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৫৯ তম সংসদীয় আসন (কুমিল্লা-১১) আসনটিতে কে জিতবে তা নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের দ্বন্দের নিরসন ও বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সমীকরণের ওপর।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, এমএফ, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ