29 C
আবহাওয়া
৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৫৯ (নেত্রকোনা-৩)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৫৯ (নেত্রকোনা-৩)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে নেত্রকোনা-৩ আসনের হালচাল।

YouTube player

নেত্রকোনা-৩ আসন

নেত্রকোনা-৩ সংসদীয় আসনটি আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১৫৯ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এম. জুবেদ আলী বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ২ শত ২৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৭ শত ৭৭ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এম. জুবেদ আলী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৫ হাজার ৮ শত ৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এল আহমেদ খান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৪ হাজার ৯ শত ৭৭ ভোট।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির নুরুল আমিন তালুকদার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির নুরুল আমিন তালুকদার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির নুরুল আমিন তালুকদার বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯ হাজার ৩ শত ১৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮ শত ৩৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির নুরুল আমিন তালুকদার বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭০ হাজার ৯ শত ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের জুবেদ আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬২ হাজার ৮ শত ১০ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির নুরুল আমিন তালুকদার বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৭ শত ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২ হাজার ৪ শত ৬৯ জন। নির্বাচনে বিএনপির নুরুল আমিন তালুকদার বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩ হাজার ১ শত ২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের জুবেদ আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯৩ হাজার ৯ শত ৬৬ ভোট।

এন আই খান নামে পরিচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন তালুকদার ২০০৩ সালের ৩ জুন মুত্যবরণ করেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে তার স্ত্রী খাদিজা আমিন বিজয়ী হন।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মঞ্জুর কাদের কোরাইশী বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫ শত ৯২ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২১ হাজার ৪ শত ৯৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মঞ্জুর কাদের কোরাইশী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩১ হাজার ১ শত ৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৬ হাজার ৭৬ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৮ শত ৫৭ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ১ শত ৪৭ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯ শত ৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির জসিম উদ্দিন ভুইয়া। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১১ হাজার ৪ শত ৬৫ ভোট।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪ শত ৫৪ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪ শত ৫১ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির জসীম উদ্দীন ভূঁঞা, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের জাকির হোসেন, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্য জোটের এহতেশাম সারওয়ার, কাস্তে প্রতীকে সিপিবির আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৭০ হাজার ১ শত ৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী, ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৭ হাজার ২ শত ২০ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ। ষষ্ঠ সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর নেত্রকোনা-৩ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, নেত্রকোনা-৩ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৯.৪৩ % ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৯.২৯%, বিএনপি ৩৮.৫২%, জাতীয় পাটি ২.৩১%, জামায়াত ইসলামী ১১.৫৭% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৮.৩১% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৩.৯৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪০.৫৭%, বিএনপি ৪৫.৮২% জাতীয় পাটি ১০.১১%, জামায়াত ইসলামী ২.৪২% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.০৮% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৫.০৬ % ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৬.৪১ %, ৪ দলীয় জোট ৫০.৯৩%, জাতীয় পার্টি ২.১২% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৫৪ % ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৬.০৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৯.৮০ %, ৪দলীয় জোট ৩৯.২২ % স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৯৮ % ভোট পায়।

নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। আরও মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী. সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আবদুল মতিন। নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক উপদেষ্টা সামসুল কবীর খান, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী।আরও মনোনয়ন চাইবেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি আলাদা একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন। তবে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালীর গ্রুপই শক্তিশালী। এছাড়া রফিকুল ইসলাম হিলালীর রয়েছে বর্ণাট্য রাজনৈতিক ইতিহাস। ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাউল হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন হিলালী। ১৯৯০ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৩ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবির বিরোধী ছাত্রঐক্য পরিষদ গঠন ও চাকসু এবং হল গুলোতে ধস নামানো বিজয়ের ক্ষেত্রে প্রগতিশীল চিন্তাধারার হিলালীর অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। সেকারণে বেশ কয়েকবার ইসলামী ছাত্রশিবিবের নির্যাতনের শিকার হন। রফিকুল ইসলাম হিলালী শুধু মনেপ্রাণে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করেই ক্ষান্ত হননি, অ্যামেরিকান ওয়াল্ড ইউনিভাসির্টি, ক্যালফোনিয়া থেকে প্রফেসর সদরুল আমিনের তত্ত্বাবধানে “A critical analysis of the contribution of President Ziaur Rahman in the Liberation War of 1971” বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, নেত্রকোনা-৩ ( আটপাড়া, কেন্দুয়া) সংসদীয় আসনটি একক কোন দলের একক ঘাঁটি নয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জুবেদ আলীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দখলে যায়। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ষষ্ট সংসদ নির্বাচন থেকে ২০০১ সালে সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালে সেনা শাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে মনজুর কাদের কোরাইশীর মাধ্যমে এটি আবার আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। যা একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগকে বার বার প্রার্থী বদল করতে হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। সেই দিক থেকে নির্ভার আছে বিএনপি। দলীয় কোন্দল থাকলেও তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১৫৯তম সংসদীয় আসন (নেত্রকোনা-৩) আসনটিতে বিএনপিকেই ফেবারিট মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রাহেনা, ওজি,ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ