34 C
আবহাওয়া
১০:০৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ড. তাহের হত্যা : ফাঁসি স্থগিত চেয়ে জাহাঙ্গীরের আবেদন

ড. তাহের হত্যা : ফাঁসি স্থগিত চেয়ে জাহাঙ্গীরের আবেদন

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুইজনের ফাঁসি বহাল

বিএনএ, ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ফাঁসি স্থগিত চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম।

সোমবার (১০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এন গোস্বামীর মাধ্যমে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে হাইকোর্টে দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের কথা উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির দণ্ড স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেন আইনজীবী।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের পরিবারের পক্ষে পাঠানো এই আবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট বিবেচনাধীন আছে। এটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চাওয়া হয়েছে আবেদনে।

এর আগে, আলোচিত এই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।

দণ্ডিতরা হলেন—একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সমন্ধি আব্দুস সালাম। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন—একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন—মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সমন্ধি আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ