বিএনএ, ডেস্ক : ওমরাহ পালনের সময় ধর্মপরায়ণ মুসলমানরা যেনো নিরাপদ ও সুস্থ থাকতে পারেন, সেজন্য সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় ওমরাহ পালনকারী বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছেন। এই নির্দেশনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা ওমরাহ পালনকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর ও নিরাপদ করে তুলবে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে (হারাম শরিফ) ওমরাহ পালন শেষে মুসলমানরা শুধু অনুমোদিত নাপিতের কাছে চুল কাটতে হবে। মক্কার আশপাশে নির্দিষ্ট বারবার শপে জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করা হয়, যা ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে তাদের ওমরাহ যাত্রা আরও নির্ভেজাল হবে। ওমরাহ পালনকারীদের শারীরিক প্রস্তুতির ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষত পায়ের যত্নের প্রতি সচেতন থাকতে বলা হয়েছে, যাতে আরামদায়ক জুতা পরিধান করা হয় এবং দীর্ঘ সময় খালি পায়ে হাঁটতে না হয়। ক্লান্তি এলে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে মুসলিম উম্মাহরা পরিপূর্ণভাবে ওমরাহ পালন করতে সক্ষম হন। ওমরাহ পালকারীদের ভারী খাবার এড়িয়ে চলতে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলেছে, যাতে শরীর সবসময় সজীব ও সতেজ থাকে। যথাযথ বিশ্রাম এবং পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে ওমরাহ পালনকারীরা শারীরিকভাবে শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেন।
হজ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও জানা যায়, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। যেকোনো বিমানবন্দর থেকে স্বদেশে ফিরতে পারবেন। তাদের সুবিধার্থে নারীদের জন্যও নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এখন তাদের পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ওমরাহ পালন করা সম্ভব। এ ছাড়া যে কোনো প্রকার ভিসা যেমন, ব্যক্তিগত, ভিজিট বা পর্যটন ভিসাধারীরাও ওমরাহ পালন এবং পবিত্র মদিনা নগরীর মসজিদে নববীতে অবস্থিত মুসলিম উম্মাহের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জেয়ারত করতে পারবেন। এই জেয়ারতের জন্য আগে থেকে ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হবে।
এদিকে সৌদি নাগরিকরাও এখন থেকে বিদেশি বন্ধুদের ওমরাহ পালন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন, যা ইসলামের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই পদক্ষেপ তীর্থযাত্রীদের সুস্থতা ও আরামের প্রতি সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ করবে পাশাপাশি এ উদ্যোগ মুসলিম উম্মাহকে আরও উৎসাহিত করবে এবং ধর্মীয় কর্তব্য পালনে শান্তি ও স্বস্তির বার্তা পৌঁছে দেবে।
বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী/এইচমুন্নী