31 C
আবহাওয়া
২:০০ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভা‌বিক

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভা‌বিক

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভা‌বিক

বিএনএ, চট্টগ্রাম: টানা ভারী বৃস্টির পানি নেমে যাওয়ায় দুইদিন পর স্বাভাবিক হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে এ মহাসড়কটির যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। যাত্রী সাধারণ এসব যানবাহনে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও বান্দরবানের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত এ জেলায় এখনও পানি সরেনি।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ ইরফান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় দুইদিন পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। বুধবার থেকে পানি কমা শুরু হয়েছিল। আজ সড়কের কোথাও পানি নেই। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি জমে সোমবার রাত থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি নামলেও এখন বিস্তীর্ণ ফসলী জমি ও লোকালয় তলিয়ে আছে পানিতে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি না নামায় বাড়িতে ফিরতে পারছে না লোকজন। পানিবন্দী স্বাভাবিক হয়েছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও। এর আগে অতি ভারি বর্ষণে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়াসহ কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায়। সপ্তাহখানেক আগে থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় এসব এলাকা।

জেলা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিসাব মতে, সাতকানিয়ায় সাড়ে ২২ হাজার পরিবার, চন্দনাইশে ৫ হাজার, পটিয়ায় ১৬ হাজার ৫৯৫ পরিবার এবং লোহাগাড়ায় ৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দরবান ও চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশে গত মঙ্গলবার সেনা মোতায়েন শুরু হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাসদস্যরা নিরলসভাবে উদ্ধার তৎপরতা, জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনা, চিকিৎসা-সহায়তা এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেনাবাহিনীর অন্য ফরমেশনগুলো নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। একই সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পানির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানকার প্রায় ১৭টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা উপজেলাগুলোতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৬৫০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া নগদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দসহ শুকনো খাবার, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হচ্ছে।

বিএনএনিউজ/বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ