26 C
আবহাওয়া
২:৩৫ পূর্বাহ্ণ - মে ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কর্ণফুলীতে গ্যাস মিয়ার দখলে ৫ কোটি টাকার খাস জমি!

কর্ণফুলীতে গ্যাস মিয়ার দখলে ৫ কোটি টাকার খাস জমি!

কর্ণফুলীতে গ্যাস মিয়ার দখলে ৫ কোটি টাকার খাস জমি!

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর এলাকার মোহাম্মদ মিয়া (৫০) প্রকাশ গ্যাস মিয়ার দখলে রয়েছে ৫ কোটি টাকার সরকারি খাস জমি। সরকারি বিএস ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এসব জমি ১৮টি দাগে তার দখলে মোট ১ একর ২১ শতক জমি।

জানা যায়, এসব খাস জমি ভরাট করে তিনি প্লট আকারে বিক্রি করেছেন। অনেক টাকা পকেটস্ত করেছেন এই গ্যাস মিয়া। তবে সেক্ষেত্রে বিক্রিত জমি সরকারের বিধায় ক্রেতাকে দলিল করে দিতে পারেনি তিনি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকারি খাস জমি জানা সত্ত্বেও তিনি একের পর এক ঘরবাড়ি ও দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া বাসা তৈরিসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি এসব জমির মালিকানা দাবি করতে কোর্টেও নামে বেনামে মামলা করে রেখেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব জমির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে। সরকারি এই বিশাল খাস জমি দখল করে গ্যাস মিয়া। এতে তিন ফসলি ধানি জমি নষ্ট করে মাঝখানে রাস্তা করেছেন। ফলে কৃষি জমি নষ্ট হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

যদিও বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে ৮০ ভাগ খাস জমি উদ্ধার করেছেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী’র নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন কর্ণফুলী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শওকত জামান ও বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযানে বি.এস ৫২৬, ৫২৭, ৫২৮ দাগে জমির পরিমাণ ৩০ শতক, বি.এস ২৮৩ দাগে ১৫ শতক, ২৮৪ দাগে ১৫ শতক, বি.এস ২৭২ ,২৭৩ ,২৭৫, ২৭৬,২৭৭, ২৭৯ ও ২৮০ দাগে ২২ শতক, বি.এস ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭, ৩৪৮, ৩৪৯ দাগে ২৪ শতক, এছাড়া ৩১১ দাগে ৮ শতক ও ৪৯৫ দাগে ৭ শতক জমি মোট ১ একর ২১ শতক জমিতে সাইনবোর্ড ও সীমানা পিলার দ্বারা চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন ধরে খাস জমিগুলো অবৈধ দখলদার কাছে ছিল। পরে জমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে জমির তফসিল উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। পাশে কিছু জমিতে ঘরবাড়ি থাকায় আমরাও মানবিক কারণে তাঁদের উচ্ছেদ করিনি। পরে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে সরকারি খাস জমি দখলকারী মোহাম্মদ মিয়া প্রকাশ গ্যাস মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘এসব আমার জমি। ভুলে বিএসে খাস হয়েছে। তাই বলে আমার জমি খাস হয়ে যাবে। আমি কোর্টে মামলা করেছি। মামলাটি পটিয়া আদালত থেকে চট্টগ্রাম কোর্টে গেছে। এখানে আমার ঘরবাড়ি আছে। ভাড়া বাসা আছে। প্রশাসন সাইনবোর্ড লাগানোর সাথে সাথে আমি এসিল্যান্ড অফিসে গিয়েছিলাম। উনি ছিলেন না। রোববার আবার যাবো।’ বিএস জরিপে সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএস জরিপের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।

বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলার সহকারি কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে গতকাল উপজেলার শাহমীরপুর মৌজার সাবান ফ্যাক্টরি এলাকায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বি.এস ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১ একর ২১ শতক জমি চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়।’

এসিল্যান্ড পিযুষ কুমার চৌধুরী জানান, ‘অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকা এসব খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অবৈধ দখলে থাকা সব ধরনের জমি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বিএনএনিউজ/ বিএম /এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ