24 C
আবহাওয়া
৫:৪১ পূর্বাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎসস্থল : ডিবিপ্রধান

মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎসস্থল : ডিবিপ্রধান


বিএনএ, ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ বলেছেন, কুইন স্যানিটারি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎসস্থল। বেইজমেন্টের এই আন্ডারে গ্রাউন্ড স্পেসটি রাজউকের বিধান অনুসারে খোলামেলা থাকলে সেখানে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা যেত।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সিদ্দিক বাজারের যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে তার নাম কুইন সেনেটারি মার্কেট। এক সময় এটার নাম ছিল কুইন ক্যাফে। ১০ তলা ভবনের প্ল্যান করা হলেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেইজমেন্ট ও এক তলা কমপ্লিট ছিল। এর বেইজমেন্টে ছিল রান্নাঘর আর এক তলায় ছিল খাবার হোটেল। এ রান্নাঘরে কমার্শিয়াল গ্যাসের বড় লাইন ছিল যা পরে লিখিতভাবে তিতাসের কাছে সারেন্ডার করা হয়।

২০০৪ সালে ভবনটির সাত তলা পর্যন্ত কমপ্লিট করা হয়। বর্তমানে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড বেইসমেন্টসহ সাত তলা পর্যন্ত ভবনটি কমপ্লিট আছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক মরহুম হাজী মোহাম্মদ রেজাউর রহমান। ২০১১ সালে তার মৃত্যুতে তার তিন ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী বর্তমানে ভবনটির মালিক।

তি‌নি ব‌লেন, ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং প্লেস না রেখে সেখানে কাঁচে ঘিরে সেনিটারি ব্যবসার জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সেখানে ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ভবনের স্যাপটিক ট্যাংকও কখনো পরিষ্কার করা হয়নি। এ অবস্থায় বিস্ফোরণের দায়-দায়িত্ব ভবন মালিক বা সেখানকার ব্যবসায়ীরা এড়াতে পারেন না বলে জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সবকিছু বিবেচনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত একটি মামলা দায়ের করে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

পু‌লিশ জানায়, বেইজমেন্টে কার পার্কিং থাকলে বাতাসের ভেন্টিলেশন থাকত। কোন গ্যাস জমা হতো না। বিস্ফোরণও হয়তো হতো না।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নাম কুইন টাওয়ার। গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের নর্থসাউথ রোডে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্ফোরণে ভবনটির তিনতলা পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।

বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করেছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ