বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: চলমান সংঘাতের মধ্যেই হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরাইল। রোববার (৮ অক্টোবর) ইসরাইলের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুদ্ধের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আলজাজিরা ও সিএনএনের তথ্যমতে, মন্ত্রিসভার এই অনুমোদনের ফলে ইসরাইলের আইন অনুযায়ী এখন থেকে যুদ্ধ চালাতে পারবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।
এদিকে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলেও নিহতের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।
ইসরায়েলে হামাসের হামলার খবরে রাজধানী রামাল্লাহ্সহ জেরিকো, কালকিলিয়া ও হেবরনে উল্লাস করতে নামেন হাজারও ফিলিস্তিনি। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় চালানো সামরিক আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা জানান তারা। এর প্রতিবাদে আবর্জনার বাক্স এবং গাড়ির টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা।
এসময় ইসরায়েলি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালালে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে ইহুদি সেনাবহর। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় টিয়ারগ্যাসও। পরে স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের সরিয়ে নেন।
এদিকে, শনিবার (৭ অক্টোবর) চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করেছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় ইসরায়েলি দূতাবাস জানিয়েছে এ তথ্য। হামাসের দাবি, জিম্মি করা ইসরায়েলিদের তালিকায় রয়েছেন শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাও। যুদ্ধবন্দিদের গাজা উপত্যকার গোপন স্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। এ পরিস্থিতিতে সামরিক আগ্রাসন চালানোর আগে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে কয়েকবার ভাবতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএনএ/এমএফ