28 C
আবহাওয়া
২:৫৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুজনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুজনের যাবজ্জীবন

সাইফুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় তিন বছর আগে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সাইদুর রহমান গাজী এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন— বাগেরহাট জেলার মোড়ালগঞ্জ থানার রব সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (৩৮) এবং ভোলা জেলার লালমোহন থানার মহেষখালী গ্রামের আলী ফরাজির ছেলে শামসুল হক (৫০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নগরীর চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন ভুক্তভোগী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরী। তার মা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং বাবা ঢাকায় থাকতেন। ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট ওই কিশোরীর মা কর্মস্থলে যাওয়ার পর দুপুরে ফারুক তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে শামসুলসহ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

এরপর ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী তাকে ফারুক ও শামসুল ধর্ষণ করেছে বলে তার মাকে জানান। পরে একইবছরের ২ নভেম্বর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় ফারুক সরদার ও শামসুল হককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলার তদন্তশেষে ২০২২ সালের ২২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন চান্দগাঁও থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান। মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হায়দার মোহাম্মদ সোলাইমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত দুই আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রায়ের সময় আসামি ফারুক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামি শামসুল হক পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।’

তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল বিন ফারুকী। তিনি বলেন, বিচার করেন আদালত, রায় দেন আদালত। আমরা বিচারককে ন্যায় বিচার করতে সহযোগিতা করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৩২ক ধারা অনুযায়ী, আসামি ও ভুক্তভোগীর ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হলেও এখানে সেটা করা হয়নি। এমনকি ভুক্তভোগীকেও এই মামলায় সাক্ষী হিসাবে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেননি। তাই আসামিদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনানুগ সিদ্ধান্ত নিব।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ

Loading


শিরোনাম বিএনএ