29 C
আবহাওয়া
৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নেছারাবাদে চারদিন পর মিলল যুবকের মরদেহ, আটক ৩

নেছারাবাদে চারদিন পর মিলল যুবকের মরদেহ, আটক ৩

নেছারাবাদে চারদিন পর মিলল যুবকের মরদেহ, আটক ৩

বিএনএ, বরিশাল: পিরোজপুরের নেছারাবাদে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পরে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় মো. হাসানুর রহমান অপু (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার দক্ষিণ সেহাংগল (সুন্দর) গ্রামের রুমান শেখের বাড়ির খড়ের গাদার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করে স্থানীয়রা রুমানের মা লিপি বেগম, বোন সুমনা আকতার ও ভাইয়ের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

নিহত অপু উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল গ্রামের সাবেক ব্যাংক কর্মচারী আব্দুর জব্বারের ছেলে। তারা পরিবার নিয়ে খুলনায় থাকেন।

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছরোয়ার হোসেন জানান, ওইদিন দুপুরে হাসানুর রহমান অপু নামে এক যুবকের মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো ও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহতের মামাতো ভাই মো. আজাদ হোসনে জানান, বুধবার (৪ অক্টোবর) একই গ্রামের সাবেক মেম্বার মকবুল হোসেন শেখের ছেলে রুমান তাকে ডেকে নেন। সেই থেকে অপু নিখোঁজ ছিল। শনিবার সকালে ওই গ্রামের জহির নামে এক ছেলে রুমানের বাড়ির পাশের বাগানে সুপারি পাড়তে গেলে দুর্গন্ধ পায়।

পরে জহির বিষয়টি পার্শ্ববর্তী মাদরাসার সামনে থাকা লোকজনকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণকে খবর দেন। খবর পেয়ে এলাকার শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অপুর মরদেহ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে রুমানের ঘর ঘেরাও করে এবং দুইটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা রুমানের মা লিপি বেগম, বোন সুমনা আকতার ও ভাতিজি সাদিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপুর মরদেহ উদ্ধার করে ও আটকদের থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে রুমান পলাতক রয়েছে।

আরও পড়ুন: হামাসের রকেট হামলায় ৪০ ইসরায়েলি নিহত

পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ-কাউখালী সার্কেল) সাবরিনা মেহেবুব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানান, নিহত হাসানুর রহমান অপু পরিবার নিয়ে খুলনা থাকেন। নিজ এলাকায় সুপারির বাগান কেনার ব্যবসা করেন। ওই বাগানের সুপারি পাড়াতে তিনি এলাকায় থাকেন।

প্রসঙ্গত, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রুমান এর আগে সেহাংগলের মা-মেয়ে জোড়া খুনের প্রধান আসামি ছিলেন। ওই মামলায় জামিনে থেকে এলাকায় নানা প্রকার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

বিএনএনিউজ/ সাইয়েদ কাজল/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ