22 C
আবহাওয়া
১১:০০ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার

বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সানি এবং পিচ্ছি সাকিব গ্যাং নামে কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ মোট ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ইফতারের পর থেকে বুধবার (৫ এপ্রিল) সেহেরীর পূর্ব পর্যন্ত র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি দল নগরের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলো- ১। রিয়াজ উদ্দিন সানি (২৪) ২। সাদ্দাম হোসেন (২০), ৩। আব্দুল মান্নান (২০), ৪। তানভীর (২০), ৫। সোহেল রানা (২১), ৬। রবিউল হোসেন (১৮) এবং ৭। আল রাব্বি (২৪)। ৮। মো: জসিম (২৫) (গ্যাং লীডার), ৯। মো: রাকিব (১৯), ১০। বেলাল মিয়া সাজু (২৩) এবং ১১। মো: সাকিব (১৫)।

এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত সানি ২০২০ সালের হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি এবং অপর গ্যাং গ্রুপের পিচ্চি সাকিবও হত্যা মামলার আসামী। এছাড়া রিয়াদ, তানভীর এবং আল রাব্বির নামে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় চুরি ও হত্যা মামলা এবং অপর গ্রুপের জসিম, রাকিব এবং বেলালের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় ১টি করে এবং গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের নামে পাহাড়তলী এবং আকবরশাহ থানায় ১টি করে মোট ২টি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মারামারির মামলা রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, বায়েজিদ এলাকায় সানী গ্যাং নামে পরিচিত কিশোর গ্যাং গ্রুপটি স্থানীয়ভাবে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এই গ্যাংটির লিডার রিয়াজুদ্দিন সানী বায়েজিদ এলাকার ১টি হত্যা মামলার আসামী। সে জামিনে এসেও এই গ্যাং লালন-পালন করার মাধ্যমে তার প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন সময় এলাকায় মারামারি-হানাহানি করার মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর সাথে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এই গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজী করতে দেখা গেছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা সকলেই মাদকাসক্ত বলে জানা যায়।

র‌্যাব আরও জানায়, পিচ্চি শাকিব গ্যাং নামে পরিচিত গ্রুপটি পাহাড়তলীর সরাইপাড়া এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং ভাড়ায় মারামারি ও টাকার বিনিময়ে জমি দখল করে সংঘাতে লিপ্ত থাকে। তবে ছিনতাই করাই হল এদের মূল কার্যক্রম। বিভিন্ন দোকানদারদের কাছ থেকেও এরা চাঁদা আদায় করত। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করত। এদের ভয়ে এলাকার মানুষ স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারত না। এদের সবার নামে পাহাড়তলী থানায় ছিনতাই ও মারামারির মামলা আছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় র‌্যাব।

বিএনএনিউজ/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ