স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সবধরনের ক্রিকেট। পরে জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ইংল্যান্ড সফরের মাধ্যমে মাঠে ফেরে খেলা। একইসঙ্গে ক্রিকেটারদের জীবনে ‘স্থায়ী’ হয়ে যায় একটি বিষয়। তা হলো- কোয়ারেন্টাইন।
কোনো সফরে যাওয়ার আগে নিজ দেশে আইসোলেশন, পৌঁছানোর পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং সবশেষ সিরিজ শেষ করে দেশে ফেরার পর আবার কোয়ারেন্টাইন- গত ১০ মাস ধরে এ রুটিনেই চলছে ক্রিকেট। এবার সেই স্বাদ পেতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও।
প্রায় সোয়া তিন সপ্তাহের শ্রীলংকা সফর শেষ করে আজ (মঙ্গলবার) বিশেষ চাটার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় দেশে ফিরছেন মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবালরা। তবে দেশে ফেরার পর সঙ্গে সঙ্গে যার যার বাসায় যেতে পারবেন না তারা। সবাইকে থাকতে হবে তিনদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
গত ১২ এপ্রিল শ্রীলংকা যাওয়ার পর সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। এরপর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে তারা খেলেছে সিরিজের দুই টেস্ট ম্যাচ। যা শেষ করেও শেষ হচ্ছে না হোটেলবন্দী জীবন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য দেশে ফিরে বিসিবির নির্ধারিত হোটেলে উঠতে হবে পুরো দলের সবাইকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার এবার কোয়ারেন্টাইনের ব্যাপারে খুবই শক্ত অবস্থানে। দেশে ফেরার পর দলকে তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। এরই মধ্যে শ্রীলংকা সফরের দলের সবাইকে তা জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি।
তবে বিসিবি চেষ্টা করছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের পরিবর্তে দলের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে দিতে। কারণ শ্রীলংকায় ক্রিকেটারেরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছিলেন। দেশে ফিরছেন বিশেষ ভাড়া করা বিমানে। তার ওপর গত রবিবার রাতে করানো সর্বশেষ করোনা পরীক্ষায় দলের সবাই নেগেটিভ হয়েছেন।
এমতাবস্থায় ক্রিকেটারদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না বিসিবি, ক্রিকেটাররা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা চেষ্টা করবে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে। কারণ তারা পুরো সময়টাতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ
Total Viewed and Shared : 112