26 C
আবহাওয়া
৮:১৭ পূর্বাহ্ণ - মে ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘জুমাতুল বিদা’ ও কিছু কথা

‘জুমাতুল বিদা’ ও কিছু কথা

‘জুমাতুল বিদা’ ও কিছু কথা

বিএনএ, ইসলামিক ডেস্ক: রমজানের শেষ জুমা মুসলিম সমাজে ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পরিচিত। ইসলামি শরিয়তে যদিও ‘জুমাতুল বিদা’ নামে আলাদা কোনো দিবস নেই, বরং এটি একটি নতুন আবিষ্কৃত পরিভাষা। এই দিনের বিশেষ ফজিলতের বর্ণনাও কোরআন হাদিসের কোথাও পাওয়া যায় না। রমজান হিসেবে অন্য জুমার যেই ফজিলত, শেষ জুমারও একই ফজিলত।

অনেক অঞ্চলে বলা হয়ে থাকে যে, ‘জুমাতুল বিদায় বিশেষ পদ্ধতিতে যে ব্যক্তি চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার সারা জীবনের কাজা নামাজের কাফফারা হয়ে যাবে।’

ইমাম শাওকানি (রহ.) তার জাল হাদিসবিষয়ক রচনা ‘আলফাওয়াইদুল মাজমুআতে’ এই বিষয়টি উল্লেখ করার পর বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি একটি জাল বর্ণনা।’ (আলফাওয়াইদুল মাজমুআতে, বর্ণনা: ১১৫)

তবে হাদিসের ভাষায়, জুমার দিন সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থগুলোতে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। (মুসলিম: ৮৫৪)

তাই বছরের সব জুমার দিনই ফজিলতের দিক দিয়ে সমান। কমবেশির কথা কোরআন হাদিসে নেই। আর রমজানের যেকোনো শুক্রবারই রমজান মাসের কারণে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। তবে রমজানের প্রথম জুমার তুলনায় শেষ জুমার ফজিলত বেশি, এই ধারণা অমূলক, ভিত্তিহীন।

বিদায়ী জুমায় এসে সবার করণীয় হলো, নিজেদের আমলের হিসাব গ্রহণ করা। কেননা হযরত আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবন আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসের প্রবৃত্তির হিসাব গ্রহণ তথা আত্মপর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য (নেক) কাজ করে। আর দুর্বল সে ব্যক্তি, যে স্বীয় নফসের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আবার আল্লাহর কাছেও (ভালো কিছু প্রাপ্তির) আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।’ (তিরমিজি : ২৪৫৯; মুজামুল কাবীর : ৬৯৯৫)

এছাড়াও এদিন আল্লাহর কাছে প্রত্যেক মুমিনের বেশি বেশি তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। কারণ তওবা সফলতার চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা : আন-নুর, আয়াত : ৩১) আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বিদায়ী জুমার বিশেষ গুরুত্ব অনুধাবন করে রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন।

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ