বিএনএ, গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে এ বছর প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগের সৃষ্টি না হওয়ায় এবং আবহাওয়ার অনূকূল পরিবেশ বিরাজ করায় কুল চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে ভাগ্য খোলেছে এ এলাকার কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলার ৪০৫ হেক্টর জমিতে কুল ও বরই চাষ হয়েছে। বাজার এবং চাষিদের চাহিদা অনুযায়ী এবার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বরই এবং কুলের আবাদ হয়েছে। শ্রীপুরে আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী কুলের চাষের প্রচলন ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে টক বরইয়ের চাহিদা বেড়েছে। নতুন করে কেউ বাগান করতে চাইলে উন্নতজাতের কুল ও বরইয়ের চারা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সহযোগিতা প্রদান করবে।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে, শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামের বরই বাগান মালিক জামাল উদ্দিন পাঠান জানান, ৭০ শতক জমিতে ১১৬টি বরই গাছে দেড় মণ বরই পান তিনি। এবার দুই লাখ ৭০ হাজার টাকায় বাগানটি বিক্রি করেছেন। বরইয়ের জমিতে রাসায়নিক সারের সঙ্গে ৪/৫ বার পানি দিতে হয়। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বরইয়ের ফুল আসার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
তিনি বলেন, ২০ হাজার টাকা খরচ করে দুই বছর আগে বরইয়ের বাগান করেছেন। এবার সার, পানি, গোবরসহ সবমিলিয়ে ১০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা বাগান বিক্রি করে লাভ পেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন,তার সফলতা দেখে এই এলাকা ছাড়াও অন্যান্য গ্রামের চাষিরা নিজ উদ্যোগে বরই বাগান করছেন।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ এস এম মুয়ীদুল হাসান বলেন, ফল চাষের দিক থেকে শ্রীপুরে কাঁঠাল ও লিচুর পরেই রয়েছে বরই ও কুলের অবস্থান।
বিএনএনিউজ/এম.এস. রুকন/এইচ.এম।