31 C
আবহাওয়া
১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ - মে ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টেকনাফে আতঙ্কে রাত কেটেছে অন্তত ১০ হাজার মানুষের

টেকনাফে আতঙ্কে রাত কেটেছে অন্তত ১০ হাজার মানুষের


বিএনএ,চট্টগ্রাম: মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডুর দুই পাশের (উত্তর ও দক্ষিণ) কয়েকটি গ্রামে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে নাফ নদীর এপারে কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ পৌর শহর, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে রাত কেটেছে গ্রামগুলোর অন্তত ১০ হাজার মানুষের।

গতকাল শনিবার(২র্মাচ) সন্ধ্যা থেকে আজ রোববার (৩র্মাচ) ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সারা রাত থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় গাড়িচালক আলী আহমদ বলেন, নাফ নদীর তীরে টেকনাফের নেটং পাহাড়ের নিচে ছোট্ট ঘরে সপরিবারে থাকি। গভীর রাতে যখন ওপারে বিকট শব্দে মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে, তখন নদীর তীরে এসে দেখতে পাই ওপারে আগুনের ফুলকি, আকাশে কালো ধোঁয়া। তিনদিন ধরে মংডু শহরের উত্তরের কয়েকটি গ্রামে সবচেয়ে বেশি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। তবে মর্টার শেল কারা নিক্ষেপ করে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।

সীমান্তের লোকজন বলছেন, তিনদিন গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে নতুন করে শুরু হয় গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ। তবে দিনের চেয়ে রাতে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ে অনেক। তখন আকাশপথে হামলার পাশাপাশি ছোড়া হয় মর্টার শেল। মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে টেকনাফ সীমান্ত। নাফ নদীর টেকনাফ অংশ সবুজ প্যারাবনে ঢাকা। প্যারাবন ও নাফ নদীতে নেমে স্থানীয় বাংলাদেশি লোকজন মাছ-কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও রাখাইন পরিস্থিতিতে তা বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা মিয়ানমারে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কয়েক দিন ধরে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়েতেও (আকিয়াব) দুই পক্ষের লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটির রাজধানী ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে সিথুয়ের যাতায়াতের সড়কটির কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে আরাকান আর্মি। সেখানকার পোন্নাগিউনে পুলিশের একটি ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে তারা। আরাকান আর্মি সিথুয়ে ও মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে আজ রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মংডুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে ২০-২৫টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়াতে কম্পন দেখা দেয়।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক ঘিরে রেখেছে। এখন তারা মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। অন্যদিকে সরকারি বাহিনীও আরকান আর্মিকে রুখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।

বিএনএনিউজ/রেহানা/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ