33 C
আবহাওয়া
৮:৫৩ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৭৯ (চট্টগ্রাম-২)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৭৯ (চট্টগ্রাম-২)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে চট্টগ্রাম-২ আসনের হালচাল।

চট্টগ্রাম-২ আসন

চট্টগ্রাম-২ সংসদীয় আসনটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফটিকছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৯ তম আসন।

প্রসঙ্গত, অনেকের কাছে এই আসনটির সংসদ সদস্যদের নিয়ে বিভ্রান্ত বা খটকা লাগতে পারে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুয়ায়ি জাতীয় সংসদের ২৭৯তম সংসদীয় আসনটি ২০০১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-৪ নামে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালে সীমানা পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে আসনটি নাম পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম-২ হিসাবে পরিচয় বহন করছে। জাতীয় সংসদের ২৭৯তম সংসদীয় আসন থেকে এই পর্যন্ত যারা নির্বাচিত হয়েছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন তার ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম সেইসব সংসদ সদস্যেদের তালিকা নির্বাচনী তথ্য-উপাত্ত, এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বিজয়ী বিজয়ী হন

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫১ হাজার ১ শত ৯৫ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৭ শত ৯০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫১ হাজার ৬ শত ৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডাক্তার নুরুচ্ছাপা । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৫ হাজার ৮ শত ৯৪ ভোট ।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রফিকুল আনোয়ার বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯ শত ৫৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রফিকুল আনোয়ার বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭২ হাজার ৫ শত ৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির জামাল উদ্দীন আহমেদ । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ৭ শত ৩ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রফিকুল আনোয়ার বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭ শত ৯১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রফিকুল আনোয়ার বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৮ হাজার ১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮২ হাজার ৫ শত ১৮ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সালাউদ্দীনন কাদের চৌধুরী বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮০ হাজার ১ শত ৪৬ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬ জন। নির্বাচনে বিএনপির সালাউদ্দীনন কাদের চৌধুরী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৯ হাজার ৩ শত ৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের এটিএম পিয়ারুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯২ হাজার ২ শত ৬৬ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বিজয়ী হন। ফুলের মালা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৫ হাজার ৩ শত ৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ হাসান। আনারস প্রতীকে তিনি পান ১২ হাজার ৪ শত ৩৩ ভোট।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শত ৮৫ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৪ শত ৫ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মোঃ আজিম উল্লাহ বাহার, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির জহরুল ইসলাম রেজা, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আতিক, আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম এবং মোমবাতি প্রতীকে ইসলামি ফ্রন্ট এর শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪ শত ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোঃ আজিম উল্লাহ বাহার । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৪৯ হাজার ৭ শত ৫৩ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে আওয়ামী লীগ, ষষ্ঠ ও নবম সংসদে বিএনপি এবং দশম ও একাদশ সংসদে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর চট্টগ্রাম-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-২ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৩.৭১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৭.০৭%, বিএনপি ৪১.৮০%, জাতীয় পার্টি ২.০২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৯.১১% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭০.০১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫২.৫৯%, বিএনপি ৪০.৩৮%, জাতীয় পার্টি ০.২৫%, জামায়াত ইসলামী ৬.১৮% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৬০% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৯.৭৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫৫.৯৪%, ৪ দলীয় জোট ৪২.৭৩%, জাতীয় পার্টি ০.৪৬% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৮৭% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৯.৯৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৪১.১৮%, ৪ দলীয় জোট ৫৭.৭২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.১০% ভোট পায়।

চট্টগ্রাম-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে পারে। নতুন দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারি এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তাকে সমর্থন দিতে পারে আওয়ামী লীগ।সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারির বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ব্যানারে বেশ কিছু ছোট ইসলামী ঘরনার দলকেও এবার নির্বাচনে দেখা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও দিতে পারে।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয় চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের ছোট ভাই ফখরুল আনোয়ার, মেয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য প্রয়াত নুরুল আলম চৌধুরীর ছেলে হাসিবুন সুহাদ চৌধুরী সাকিব।

বিএনপি নির্বাচনে গেলে সেক্ষেত্রে মনোনয়ন চাইবেন, প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী অথবা ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজি, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. সরোয়ার আলমগীর, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আজিম উল্লাহ বাহার।

নির্বাচনী ভাবনায় সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
নির্বাচনী ভাবনায় ফখরুল আনোয়ার বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড ইঙ্গিত দিয়েছেন মাঠে থাকার। মাঠেই রয়েছেন। নির্বাচন করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবেন।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও দলের সিদ্ধান্তেই আবার সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার তার কাজের মূল্যায়ন করে প্রধানমন্ত্রী তাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নির্বাচনী ভাবনায় সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজি বলেন, ফটিকছড়ি আসনটি বিএনপির ঘাটি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দল তাকে মনোনয়ন দেবে এবং তিনি প্রচুর ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। মাঠ পর্যায়ে সব সময় সক্রিয় ছিলেন, আছেন। বিএনপি নির্বাচনে গেলে তিনিই মনোনয়ন পাবেন এবং জিতবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নতুন দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারি বলেন, ‘বৃহত্তর এ উপজেলার মানুষের সেবা করতেই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। মহান আল্লাহর ইচ্ছা জনগণের ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় পাহাড় সমতলের এই আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত। সর্বশেষ সবদলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে খুব সহজে মহাজোটের অংশিদার হিসাবে আসনটি চলে যায় সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির দখলে। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। ফটিকছড়িতে বিএনপির বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে।নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে হেফাজতে ইসলামী ও জামায়াতে ইসলামীর । যা বিএনপি বাক্সকে পূর্ণ করবে।

এই আসনে মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও তরিকত ফেডারেশনের মধ্যে চরম বিরোধ রয়েছে। কোন্দল রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়ে। যা নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। সেই দিক থেকে নির্ভার রয়েছে বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৭৯ তম সংসদীয় আসন (চট্টগ্রাম-২) আসনটিতে জয়-পরাজয় নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের জোটের রাজনীতি ও বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের ওপর, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, এমএফ, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ