বিএনএ,ঢাকা: গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।গুজব ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন জনসচেতনামূলক বিভিন্ন স্পট এবং ফিলার নিয়মিতভাবে প্রচার করে আসছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুজবরোধে প্রচার করা অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুজবে কান দেবেন না, গুজবে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে পুলিশ-র্যাব, গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করুন, বিশেষ সতর্কী গুজব ছড়াবেন না (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম), গুজব ছড়াবেন না আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ইত্যাদি।
মো. আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে হাছান সংসদকে জানান,সরকার বিশ্বাস করে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত সহায়ক।এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪৪৫ থেকে এক হাজার ৩শ’তে উন্নীত হয়েছে।পাশাপাশি মিডিয়া তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পত্রিকাগুলোতে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের সুযোগ দিয়ে সংবাদপত্রকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন।এর আওতায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৪০ জন সাংবাদিককে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।যা সারা দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে থাকে।সেইসঙ্গে নিয়মিতভাবে সরকার অসুস্থ অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে।করোনাকালে সমস্যা মোকাবিলায় সারা দেশে তিন হাজার সাংবাদিককে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।যা উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে করা হয়নি।
ড. হাছান মাহমুদ জানান,সাংবাদিকদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।ইতোমধ্যে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে।ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নকারী সংবাদপত্রকে বিনাশুল্কে নিউজপ্রিন্ট প্রদান করা হয় বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি