30 C
আবহাওয়া
৫:১৩ পূর্বাহ্ণ - মে ১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৫

সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৫

তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ: নিখোঁজ একজনের লাশ উদ্ধার

বিএনএ বরিশাল : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামক তেলবাহী জাহাজে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক) রহুল আমিনকে এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

শনিবার (০১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নদীতে নিখোঁজ হয়েছে আরও ৪ জন। তবে কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখন কেউ জানাতে পারেনি। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম। সেখানে ঝালকাঠির দুটি, রাজাপুর ও নলছিটির দুটি এবং বরিশাল নদী ফায়ার স্টেশন মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ছয়টি ইউনিট কাজ করে।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, তেলবাহী জাহাজটি কোথা থেকে এসেছে তা এখনও জানা যায়নি, তবে জাহাজটি দুদিন ধরে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। আজ জাহাজে থাকা কয়েক লাখ লিটার জ্বালানি তেল খালাস করার কথা ছিল। তার আগেই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় ও আগুন ধরে যায়। এতে জাহাজের পেছনের দিকে থাকা গোটা মাস্টার ব্রিজের অংশ উড়ে গেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শিরা আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৫ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকার কথা শোনা যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এখন পর্যন্ত চার/পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের বাবুর্চি। আর দগ্ধ ৫ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আগুন লাগা তেলের জাহাজটির খালাসী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে মাইনুল ইসলাম হৃদয়সহ (২৮) চারজন ভর্তি হয়েছেন। এরা হলো জাহাজের স্টাফ ফরিদুল ইসলাম (৬০), শাকিল (৩৫) ও ইকবাল হোসেন (৩০)। তবে তাদের সম্পূর্ণ পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

নৌ পুলিশ সুপার কফিল আহমেদ বলেছেন, সাত লাখ পেট্রোল ও চার লাখ ডিজেল মোট ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে সাগর নন্দিনী-২ ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে জাহাজটি উদ্ধারে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক রওনা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীনে আলম দাবি করেছেন, জাহাজটিতে নাবিকসহ মোট পাঁচ জন ছিলেন। কেউ নিখোঁজ নেই। সবাই আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তাদের বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জাহাজটিকে উদ্ধারেও তৎপরতা চলছে।

এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঝালকাঠি সদর সার্কেল) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, জাহাজটিতে মাস্টারসহ মোট ৯ জন কর্মচারী ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন জাহাজের চার কর্মচারী।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর সুগন্ধা নদীর একই স্থানে একই কোম্পানির সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজটিতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে পাঁচ জন নিহত হন।

বিএনএনিউজ/সাইয়েদ কাজল/এইচ.এম/এইচ এইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ