29 C
আবহাওয়া
২:৪৫ অপরাহ্ণ - মে ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দুই মাস মেঘনায় মাছ ধরা নিষেধ

দুই মাস মেঘনায় মাছ ধরা নিষেধ

মেঘনা

বিএনএ ডেস্ক: জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। বুধবার (১ মার্চ) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এসময় আইন অমান্য কারীদের জরিমনা ও দুই বছরের জেল এবং উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে প্রয়োগ হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। গেল বছর লক্ষ্মীপুরে ২৪ হাজার মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়। জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা নদীর আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বরপ কারখানা বন্ধসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন লক্ষ্মীপুর জেলার কার্ডধারী ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলেকে ৪০ কেজি হারে ৪ মাস ১৬০ কেজি (ভিজিএফ চাল) খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৩৫ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দও পাওয়ার কথা জানায় মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। যা মোট জেলে তুলনায় অপর্যাপ্ত।

এদিকে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আংশিক, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলা মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। বেসরকারি হিসেবে উপকূলীয় এসব এলাকার প্রায় ৬৫ হাজার জেলে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নিবাহ করে থাকে। তবে সরকারি হিসেবে এর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৪৯ জন।

অন্যদিকে, ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ ২ মাস নদীতে না যাওয়ার কথা জানালেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের মধ্যে সরকারের নিকট খাদ্য ও পুনর্বাসন সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলেদের মাছ শিকারে বিরত রাখতে নদীতে কোস্ট গার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই আইন অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয়দন্ডে বিধান রয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ