26 C
আবহাওয়া
৫:২৫ পূর্বাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত চবি শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত চবি শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন


বিএনএ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। তবে অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি ওই অধ্যাপকের।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড দেখা যায়। ‘দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য’, ‘শিক্ষক রক্ষক না হয়ে ভক্ষক কেন?’, ‘ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য বন্ধ চাই’, ‘যৌন নিপীড়কের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ ইত্যাদি।

ভুক্তভোগীর সহপাঠী মো.সাজিদ বলেন, আমরা চাই এই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করুক আমরা এটা চাই। ভবিষ্যতে যেন আমাদের বিভাগে এমন ঘটনা করার সাহস না পায় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আমাদের সহপাঠীর সাথে যে আচরণ হয়েছে এটার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইশরাত বলেন, এমন অপরাধ আরও আগে থেকে হয়ে আসছে। কেউ আত্মসম্মানের ভয়ে সাহস করে কোন অভিযোগ করেনি। আপু অভিযোগ করেছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা শাস্তির আয়োজন করবে তার নজির সারাজীবন থাকবে। যেন কেউ কোনদিন এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজীব ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সেলে এই বিষয়টি তোলা হবে। এটি সুপ্রিম সেল। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী এখানে থাকে। তোমরা আমার সন্তান তুল্য। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর কারও সাথে না ঘটে সেই বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এর আগে বুধবার উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জানান, ‘থিসিস চলাকালীন সময়ে আমার সুপারভাইজার কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরুর পর থেকে তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক; যেমন-জোর করে হাত চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত ও জোরপূর্বক স্পর্শ করা, অসংগত ও অনুপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় তিনি আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন।’

পরে চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেলের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী দুজনের সাথেই আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে।

বিএনএ/ সুমন/এইচ.এম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ