বিএনএ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। জনদুর্ভোগ কমাতে যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করছে। সংসদে এমন কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নুর আনা একটি প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সংসদ নেতা বলেন, দেশ যাতে খাদ্য সংকটে না পড়ে সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, আমদানি পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ অতিরিক্ত ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়ানো হয়েছে।
সরকার গবেষকদের বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করছে না, বরং আমরা নিজেরাই বিশ্লেষণ করছে। জনগণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে। বলেন, যাই হোক, আমি এইটুকু বলতে চাই যে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি আছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে কি রিটার্ণ আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে সংসদে সরকার প্রধান বলেন, বর্তমান সরকার এই পর্যন্ত যত প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনতে সেটা সব সময় নজরে রাখা হয় এটাই এ সরকারের উন্নয়ন। এক্ষেত্রে কোন প্রজেক্টে রিটার্ণ আসবে সেটার উপর আগে নজর দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা বিশাল প্রস্তাব পেলাম আর ওখান থেকে মোটা কমিশনের জন্য প্রজেক্টটা নিলাম সেটা কিন্তু এ সরকার করে না। এটা জিয়ার আমলে করা হয়েছে, জেনারেল এরশাদের আমলে করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার আমলে করা হয়েছে। এর বহু প্রমাণ আছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে যারা অভিযোগ তোলেন তাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দুর্নীতির কথা যারা বলেন এই দুর্নীতির কারনেই তো সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ২৬শে জুন থেকে ২৫শে আগস্ট পর্যন্ত ৬০ দিনে পদ্মা ব্রিজের টোল বাবদ সর্বমোট আদায় হয়েছে ১শ’ ৩৮ কোটি ৮৪ লক্ষ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য খুব সহজে বাজারে চলে আসছে এবং ওই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেয়ার প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্য যে, করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং স্যাংশানের কারনে আজ আমাদের বিপদে পড়তে হয়েছে। উন্নত দেশগুলোও বিপদে, তারাই যেখানে সাশ্রয়ী হচ্ছে। তারা বিদ্যুৎ সীমিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইটুকু বলবো, দেশের মানুষের কল্যাণটাই সরকারের কাছে সব থেকে বড়। মানুষের কষ্ট হলে সেটা অন্তত আমার মনে ব্যথা লাগে কারণ আমার বাবা তো এদেশের মানুষের জন্যই তার জীবনটা উৎসর্গ করেছেন। কাজেই আমি মনে করি যে আপনাদেরও সকলের সহযোগিতা দরকার। খালি কতগুলো অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
বিএনএ/এ আর